নরমে–গরমে খানিকটা পরিষেবা শুরু হলেও সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। ফলে অচলাবস্থা জারি আছে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। এই অচলাবস্থা কাটাতে এবার আদালতের দরজায় কড়া নাড়লেন এক জনৈক ব্যক্তি। এমনকী নন্দলাল তিওয়ারি শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। সেখানে নিজের আবেদন তিনি উল্লেখ করেছেন, জুনিয়র ডাক্তারদের অনশনে পরিষেবা লাটে উঠেছে। তাই দ্রুত চিকিৎসা পরিষেবা ফেরাতে হস্তক্ষেপ করুক হাইকোর্ট। সোমবার মামলাটির পরবর্তী শুনানি।
এদিকে প্রায় দু’মাস ধরে নানা দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন জুনিয়র ডাক্তাররা। এমনকী দুর্গাপুজোর সময়ও তাঁদের আন্দোলন অব্যাহত ছিল। তাতে ব্যাহত হয় চিকিৎসা পরিষেবা। অধ্যক্ষের ইস্তফার দাবিতে তাঁরা অনড়। এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসা না পেয়ে ফিরে যেতে হয় অনেক রোগীকেই। বাধ্য হয়ে হস্তক্ষেপ করে রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। তবে পুরোপুরি সুরাহা মেলেনি। এবার তা মামলায় চলে গেল।
একপ্রকার তাঁদের নির্দেশ দেওয়া হয়, দু’ঘন্টার মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাতে সাময়িক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও স্থায়ী হয়নি। তাতে আন্দোলনকারীদের একাংশ কাজে ফিরলেও কয়েকজন ইন্টার্ন এবং জুনিয়র চিকিৎসক আমরণ অনশনের সিদ্ধান্ত নেন। তাতে আরও বিগড়ে যায় অবস্থা। এই পরিস্থিতি দেখে জটিলতা কাটাতে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করলেন আইনজীবী।
উল্লেখ্য, আর জি কর হাসপাতালে দিন দিন পরিষেবা তলানিতে গিয়ে ঠেকছে। করোনাভাইরাস আবহে এই অবস্থার কথা তুলে ধরে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার মামলাকারী নন্দলাল তিওয়ারির আইনজীবী সুমন সেনগুপ্ত অচলাবস্থা কাটাতে আদালতের হস্তক্ষেপের দাবি করেছেন। আগামী সোমবার বিচারপতি দেবাংশু বসাকের বেঞ্চে মামলাটি উঠবে।