এবার কলকাতা হাইকোর্টে গড়াল নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোট পাওয়ার ঘটনা। সিবিআই তদন্তের আর্জি জানিয়ে এক ব্যক্তি হাইকোর্টে মামলা দায়েরের অনুমতি চেয়েছিলেন। তা মঞ্জুর করেছেন প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণন। আগামী শুক্রবার থেকে সেই মামলার শুনানি শুরু হবে।
গত বুধবার সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে বিরুলিয়া বাজারের কাছে পায়ে চোট পান মমতা। প্রাথমিকভাবে খাড়া করেছিলেন ‘ষড়যন্ত্র’-এর তত্ত্ব। অভিযোগ করেছিলেন, চার-পাঁচজন তাঁকে ‘ইচ্ছাকৃতভাবে’ ধাক্কা মেরেছে। মমতার কথায়, ‘আমি গাড়ির কাছে দাঁড়িয়ে নমস্কার করছিলাম। তখন চার-পাঁচজন লোক আচমকা দরজা বন্ধ করে দেয়। পায়ে পুরো আটকে গিয়েছিল। পা পুরো ফুলে গিয়েছে। অনেক মানুষ ছিলেন। কিন্তু তাঁরা করেননি। এটা চক্রান্ত তো বটেই। চক্রান্ত তো বটেই। পুলিশ সুপার ছিলেন না। সারাদিন অনুষ্ঠান করলাম। আমার বুকে ব্যথা হচ্ছে।’ যদিও বৃহস্পতিবার হাসপাতাল থেকে ভিডিয়োয় যে বার্তা দিয়েছেন, তাতে 'ষড়যন্ত্র'-এর কোনও উল্লেখ করেননি মমতা। ঘটনার বিবরণ দিয়ে মমতা জানান, তিনি গাড়ির বনেটের উপরে দাঁড়িয়ে আমজনতাকে নমস্কার করছিলেন। তখন জোরে চাপ আসে। তাতে গাড়ির দরজা পায়ের উপর চেপে যায়। তা সত্ত্বেও জেড প্লাস ক্যাটেগরির সুরক্ষাপ্রাপ্ত মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় যে বড়সড় ফাঁক ছিল বলে মত একাংশের।
সেই পরিস্থিতিতে সুরজিৎ সাহা এক সমাজকর্মী হাইকোর্টে আবেদন জানান, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তা সত্ত্বেও যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী আহত হয়েছে, তা তদন্তের জন্য সিবিআইয়ের হস্তক্ষেপের প্রয়োজন আছে। পুরো বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে বলে আর্জি জানান। সেই আবেদনের ভিত্তিতে জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দেন প্রধান বিচারপতি। একইসঙ্গে ওই সমাজকর্মী দাবি করেছেন, ঘটনার পর প্রায় ৭২ ঘণ্টা কেটে গেলেও পুলিশ সেভাবে কোনও পদক্ষেপ করতে পারেনি। কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি।