দুর্গাপুজোয় কলকাতা হাইকোর্ট রায় দিয়েছিল দর্শকশূন্য পুজোমণ্ডপ রাখতে হবে। ফলে রাস্তায় সেভাবে মানুষের ভিড় দেখা যায়নি। এবার কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজোতেও যাতে মানুষ ভিড় করতে না পারে তার জন্য কলকাতার ওই একই আইনজীবী জনস্বার্থ মামলা করতে চলেছেন। সোমবার সেই মামলা দায়ের করা হবে কলকাতা হাইকোর্টে। এই তিনটি পুজোই নভেম্বর মাসে পড়েছে। তাই ভিড় বাড়লে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে। এই আশঙ্কা থেকেই মামলা দায়ের করা হবে।
দুর্গাপুজোয় যাঁরা স্টল দিয়ে ব্যবসা করতে পারেনি তাঁরা ভেবেছিলেন বাকি তিনটি পুজোয় ক্ষতি পুষিয়ে নেবেন। কিন্তু সেখানে একই রায় হাইকোর্ট বলবৎ রাখলে পরিকল্পনায় জল পড়বে। এই মামলার বিষয়ে আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি বলেন, ‘আমরা পরিকল্পনা করেছি যে, সামনের সপ্তাহেই হাইকোর্টে যাব। কারণ কালীপুজো, ছটপুজো এবং জগদ্ধাত্রী পুজো আসন্ন। লক্ষ লক্ষ জেলার মানুষ বড় পুজোগুলিতে এসে ভিড় করতে পারেন। আমরা সেই ভিড়টাকে আটকাতে চাই যাতে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে না পড়ে।’
উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর আগে এই আইনজীবীই অজয় কুমার দে নামে ব্যক্তির হয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছিলেন। তাতে দর্শকশূন্য পুজোমণ্ডপের রায় এসেছিল। তারপরও দৈনিক চার হাজার সংক্রমণ দেখা দিয়েছিল। পুজো শপিং করা, পুজোর সময় রাস্তায় বেরোনো এবং রাস্তায় দাঁড়িয়ে সামাজিক দূরত্ব না রেখে খাবার খাওয়ার জন্যই এই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এমনকী মাস্ক ছাড়া রাস্তায় মানুষকে ঘুরতে দেখা যায়।
আইনজীবী সব্যসাচী চ্যাটার্জি আরও জানান, হুগলি জেলায় বড় করে জগদ্ধাত্রী পুজো হয়। উত্তর ২৪ পরগণার বারাসতে কালীপুজোর রমরমা ব্যাপক। ফলে সেখানে ভিড় আটকানো না গেলে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০১৯ সালে কলকাতায় ছটপুজো করতে গিয়ে পুণ্যার্থীরা জাতীয় পরিবেশ আদালতের নিয়ম লঙ্ঘন করেছিলেন। গত ২৬ অক্টোবর রাজ্যে ৪১২১ জন করোনা সংক্রমণে আক্রান্ত হন। তাই এই পদক্ষেপ জরুরি।