বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মন্তব্যের বিরোধিতায় হাওড়ার ডোমজুড়ে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় একদল মানুষ। অবরোধের জেরে জাতীয় সড়কের ওপর আটকে পড়ে অনেক মানুষ। অবরোধকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখানোর অনুরোধ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমি অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করছি। আমি চাইলে পুলিশ দিয়ে অবরোধ উঠিয়ে দিতে পারতাম। স্পর্শকাতর বিষয় বলে করছি না।’ তবে মুখ্যমন্ত্রীর আবেদনের পরও অবরোধ ওঠেনি। দ্বিতীয় হুগলি সেতুতেও যানজট তৈরি হয়। ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এই অবরোধ চলে।
এদিন অবরোধ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘কোনও একজন ব্যক্তি নিজস্ব উদ্যোগে ওই অবরোধ ডেকেছেন। নিজেকে ইমাম বলে পরিচয় দিচ্ছেন। কিন্তু আদৌ তিনি ইমাম নন।’ একইসঙ্গে তিনি জানান, ‘আমার সঙ্গে নাখোদা মসজিদের ইমামের কথা হয়েছে। তিনি ভিডিয়ো বার্তায় অবরোধকারীদের রাস্তা ছেড়ে দিতে বলেছেন।’ এদিন ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আপনাদের প্রতিবাদ যদি করতেই হয় থানায় গিয়ে এফআইআর করুন। রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি লিখুন। প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন করুন। কিন্তু এভাবে রাস্তা অবরোধ করে রাখবেন না।’
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ‘আমি হাত জোর করে অনুরোধ করছি যেন বিক্ষোভ, অবরোধ তুলে নেওয়া হয়। আপনাদেরই ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকারে এসেছি। আপনারা নিশ্চিন্ত থাকুন। বাংলায় সবাই মিলেমিশে থাকেন। এটাই বাংলার ঐতিহ্য। এখানে সংখ্যালঘুদের কোনও সমস্যা হলে সংখ্যাগুরুরা দেখে নেন। আবার সংখ্যাগুরুদের কোনও সমস্যা হলে সংখ্যালঘুরা দেখে নেন।’ উল্লেখ্য, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই এদিন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার গ্রেফতারির দাবিতে টুইট করেছিলেন।