M‌odi-Mamata Meeting: আগামী ৫ ডিসেম্বর মোদী–মমতার বৈঠক!‌ একাধিক বিষয়ে হতে পারে আলোচনা

রাজ্যের কয়েকটি জেলায় গঙ্গা ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাতে মানুষের ঘর–বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী সোচ্চার হয়েছেন। চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। তবে বৈঠকে গঙ্গাভাঙন নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

সদ্য প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার টাকা কেন্দ্র দিয়েছে রাজ্যকে। তারপরও বকেয়া রয়েছে বিস্তর। এই বকেয়া আদায়ের বিষয়ে ফের নয়াদিল্লিতে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী ৫ ডিসেম্বর এই দুই নেতা–নেত্রীর মুখোমুখি বৈঠকে বসার সম্ভাবনা রয়েছে বলে সূত্রের খবর। এই ৫ ডিসেম্বর তারিখে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। সেই বৈঠকে আমন্ত্রণ করা হয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। তবে সেদিন পৃথক বৈঠকও হতে পারে দু’‌জনের।

ঠিক কী জানা যাচ্ছে?‌ নবান্ন সূত্রে খবর, মুখ্যমন্ত্রীদের এই বৈঠকের পরই পৃথকভাবে মুখোমুখি বৈঠকে বসতে পারেন মমতা–মোদী। ইতিমধ্যেই একশো দিনের টাকা, আবাস প্রকল্পের টাকা না পাওয়া নিয়ে সুর সপ্তমে চড়িয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। ঝাড়গ্রামের সভা থেকে তা শোনা গিয়েছে। তবে তারপরই প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার জন্য বরাদ্দ মোট ৫ হাজার ৫০০ কোটি টাকার মধ্যে প্রথম দফার ৫৮৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। তাতে প্রথম দফায় ৮৫৭ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তবে ওই প্রকল্পের জন্য এখনও কেন্দ্রের কাছে রাজ্যের প্রাপ্য রয়েছে ৪ হাজার ৯১৬ কোটি টাকা।

কোন কোন বিষয়ে কথা হতে পারে?‌ সূত্রের খবর, এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা, জিএসটি বাবদ বকেয়া টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনার বাকি বকেয়া টাকা এবং আবাস যোজনার বকেয়া টাকা নিয়ে আলোচনা হতে পারে। প্রায় একবছর হতে চলেছে ১০০ দিনের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। গত ডিসেম্বর মাস থেকে বন্ধ রাখা হয়েছে। আর ২০২২ সালের ৫ ডিসেম্বর রয়েছে বৈঠক।

আর কী জানা যাচ্ছে?‌ রাজ্যের কয়েকটি জেলায় গঙ্গা ভাঙন দেখা দিয়েছে। তাতে মানুষের ঘর–বাড়ি তলিয়ে যাচ্ছে। এই বিষয়ে বহরমপুরের সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরী সোচ্চার হয়েছেন। চিঠি লিখেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রীও। তবে এবারের বৈঠকে গঙ্গাভাঙন নিয়েও প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এই ভাঙনের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মালদা, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার বিস্তীর্ণ এলাকা।