পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির জেরে নাভিশ্বাস উঠেছে সাধারণ মানুষের। এই ইস্যুতে দু’দিন ধরে রাজপথে নেমে আন্দোলন করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। প্রতিটি জেলার প্রতিটি ব্লকে আন্দোলন চরমে উঠেছিল। এমনকী পেট্রোল–ডিজেল–রান্নার গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে গরুর গাড়ি থেকে শুরু করে রিকশা টেনে প্রতিবাদ, সবই দেখেছে বাংলা৷ এবার রান্নার গ্যাস–পেট্রোল–ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির শ্রাদ্ধে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে কার্ড দিয়ে আমন্ত্রণ জানালেন তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থকরা৷ রীতিমতো শ্রাদ্ধের কার্ড ছাপিয়ে তা প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছে৷
এখন দেশজুড়ে করোনাভাইরাস দাপট দেখাচ্ছে। সেখানে পেট্রোপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তৃণমূল কংগ্রেস–সহ সব বিরোধীদের। আর এই দাম বাড়ার ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বেড়ে চলেছে। সবমিলিয়ে মানুষের প্রাণ ওষ্ঠাগত অবস্থা। কলকাতাতেও পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি ছাড়িয়েছে৷ ডিজেলের দাম ৯৩ টাকা পেরিয়ে গিয়েছে৷ রান্নার গ্যাসও একধাক্কায় ২৫ টাকা বাড়িয়ে ৮৬১ করা হয়েছে৷ গ্যাসের দামে মধ্যবিত্তের পকেটে চাপ আরও বেড়েছে৷
এই পরিস্থিতিতে রাজারহাটে কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী–সমর্থক গ্যাস–পেট্রোল–ডিজেলের শ্রাদ্ধের কার্ড ছাপিয়ে ফেলেছেন৷ সেই কার্ড নিয়েই অভিনব প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করেন তাঁরা৷ পরে সেই কার্ডই দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে৷ শ্রাদ্ধের কার্ডে লেখা হয়েছে, ‘লাগামছাড়া মূল্যবৃদ্ধির জেরে পেট্রোল–ডিজেল এবং রান্নার গ্যাস ইহলোকের মায়া ত্যাগ করে পরলোক গমন করেছে৷ তাই তাদের শ্রাদ্ধের আয়োজন করা হয়েছে৷’ দিনক্ষণ উল্লেখ করা হয়নি কার্ডে। তবে প্রধানমন্ত্রীকে সপরিবারে শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে৷ চিঠির শেষে লেখা রয়েছে, ‘এক হতভাগ্য তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক।’
এই অভিনব প্রতিবাদের বিষয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সমর্থক কুন্তল ঘোষ বলেন, ‘পেট্রোল–ডিজেল–গ্যাসের যে পরিমাণ দাম বেড়েছে তাতে সাধারণ মানুষ আর এগুলি ব্যবহার করতে পারবেন না৷ তাই এদের শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আমন্ত্রণ জানালাম আমরা৷’ তবে এই বিষয়টি নিয়ে শীর্ষনেতাদের কেউ মুখ খোলেননি। এই দাম বাড়ানো বা কমানোর ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের হাত আছে। তারা দাম বাড়িয়ে কোষাগার ভর্তি করছে। আর সাধারণ মানুষের উপর বোঝা চাপাচ্ছে বলে অভিযোগ তৃমমূল কংগ্রেসের।