এবার রাজনীতির আঙিনা থেকে সরাসরি শিক্ষাঙ্গনে আসছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে তিনি কোনও স্কুলে আসছেন না। এবার তিনি মাধ্যমিক, উচ্চ–মাধ্যমিক সহ সব বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের ‘সাজেশন’ দেবেন। আর এই নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে। আগে পরামর্শ দেওয়ার কর্মসূচি ছিল ‘পরীক্ষা পে চর্চা’। এবার সেই কর্মসূচি হবে প্রজাতন্ত্র দিবসের পরের দিন। ২৬ জানুয়ারি সরস্বতী পুজো। তার পরের দিনই ভার্চুয়াল মাধ্যমে বেলা ১১টা থেকে শুরু হবে ছাত্রছাত্রীদের দেওয়া মোদীর পরামর্শ কর্মসূচি। এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে রাজ্য বিজেপিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি ঠিক কী হতে চলেছে? সম্প্রতি পরীক্ষার্থীদের নিয়ে একটি বই লেখেন নরেন্দ্র মোদী। ‘এগজাম ওয়ারিয়র্স’ নামের বইতে পরীক্ষাকে খুব দুশ্চিন্তার বিষয় না করে উৎসবের মতো করে দেখার পরামর্শ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এই বইয়ে অনেক মনীষীর উদাহরণও দেওয়া রয়েছে। ওই বইতে পরীক্ষা নিয়ে পড়ুয়াদের জন্য ২৮টি মন্ত্র এবং অভিভাবকদের জন্য ৬টি মন্ত্র দেওয়া হয়েছে। আগামী ২৭ জানুয়ারি শিক্ষকদেরও পরীক্ষার বিষয়ে পরামর্শ দিতে চান প্রধানমন্ত্রী বলে বিজেপি সূত্রে খবর।
ঠিক কী নির্দেশ এসেছে? ইতিমধ্যেই নয়াদিল্লি থেকে রাজ্য বিজেপির কাছে নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। স্কুলগুলিতে বড় স্ক্রিন লাগিয়ে অনুষ্ঠান সম্প্রচারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। সরকারি স্কুলে এই কর্মসূচি সম্ভব হবে না বুঝতে পেরে বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। অথচ রাজ্য সরকারের কাছে প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। তাই সুকৌশলে এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের স্কুলগুলিতে এই কর্মসূচি করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জেলা শহরে কোনও মাঠে এই অনুষ্ঠান দেখানোর কথা বলা হয়েছে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির কমপক্ষে ৫০০ জন পড়ুয়াকে উপস্থিত রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সাংসদ, বিধায়ক বা অন্য জনপ্রতিনিধিদের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উপস্থিত থাকতে পারেন সেটা নিশ্চিত করতে হবে। কেন্দ্রীয় নেতারা রাজ্য বিজেপিতে এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত করতে তিনজনের কমিটি তৈরি করতে বলেছে। জেলাস্তরেও কমিটি গঠন করার কথা বলা হয়েছে। আর রাজ্যের কমিটির মাথায় রাখা হয়েছে দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তাকে। কর্মসূচির অঙ্গ হিসাবে মোদীর লেখা ‘এগজাম ওয়ারিয়র্স’ বই বিলিও করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।