হাতে আর তিনদিন। তার পরেই শুরু হয়ে যাবে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। ১৯ এপ্রিল বিশ্ব বাংলা মেলা প্রাঙ্গণে নৈশভোজ দিয়ে শুরু। ২০ এপ্রিল সম্মেলনের উদ্বোধন। তারপর থেকে বাংলায় বিনিয়োগ আসা শুরু হবে। তাই প্রস্তুতি বৈঠক করলেন মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন করেন মুখ্যসচিব–সহ প্রশাসনের শীর্ষ কর্তারা। কারণ এখানে আমন্ত্রিত স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কিন্তু তিনি কি আসছেন? এই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কারা আসছেন এই সম্মেলনে? নবান্ন সূত্রে খবর, এই সম্মেলনে আদানি গোষ্ঠী আসছেন তা একপ্রকার নিশ্চিত। মুকেশ আম্বানির উপস্থিতিও কার্যত নিশ্চিত। এমনকী এই সম্মেলনে অন্যান্য শিল্পপতি, উদ্যোগপতি, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত থেকে কনসাল জেনারেলদেরও আসার কথা। তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় এসে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল টার্গেট শিল্প এবং কর্মসংস্থান। তাই এই বড় উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এমনকী তিনি মুম্বই গিয়েও শিল্পপতিদের সঙ্গে বৈঠক করে এখানে আহ্বান জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী যোগ দেবেন সম্মেলনে? এই বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সচিবালয় থেকে কোনও সাড়া মেলেনি। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন। আর বলেছিলেন, প্রধানমন্ত্রী তাঁকে কথা দিয়েছেন আসবেন। তবে এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আসার কোনও বার্তা নেই নবান্নের কাছে। এমনকী নিরাপত্তা বৈঠকেও এইনিয়ে কোনও আলোচনা হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি এলে নিরাপত্তা নিয়ে আগে থেকেই এসপিজি’র সঙ্গে রাজ্য পুলিশের সমন্বয় হয়। তেমন কোনও বৈঠক এখনও হয়নি।
সূত্রের খবর, প্রধানমন্ত্রী নাও আসতে পারেন। সদ্য দুই উপনির্বাচনে বিজেপি গোহারা হয়েছে। এমনকী গোটা দেশে যেখানে উপনির্বাচন হয়েছে সেখানেই বিজেপি হেরেছে। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী বাংলায় আসবেন না। বরং বিশেষ কাজ পড়ে গিয়েছে বলে এড়িয়ে যাবেন। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সেখানে যেতে পারেন। তবে শেষ মুহূর্তে কোন দিকে জল গড়াবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।