তন্ময় চট্টোপাধ্য়ায়
পাখির চোখ ২০২৪এর লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে এবার কার্যত প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে গেরুয়া শিবির। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, ও দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা সহ একঝাঁক নেতা এবার আসবেন বাংলায়। ২০২৩ সালের প্রথম থেকেই এবার প্রচারের ঝাঁঝকে একেবারে তুঙ্গে তুলতে চাইছে গেরুয়া শিবির।
দল সূত্রে খবর, ২০২৩ সালে অন্তত ৪০টি সভা করা হবে বিজেপির তরফে। সেখানে বিজেপির তাবড় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব উপস্থিত থাকবেন। নতুন বছরের প্রথম থেকেই কার্যত ঝাঁপিয়ে পড়ছেন বিজেপি নেতৃত্ব। ১৭ জানুয়ারি দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুরে ও হুগলির আরামবাগে সভা করবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। জানুয়ারিতে বাংলা সফরে আসবেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাও। দলের একাংশের মতে, পরবর্তী সময়ে প্রধানমন্ত্রীর মোদীর সভার সময়সূচি ঘোষণা করা হবে।
দলের অন্দরমহল সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় বিজেপির নজরে এবার বাংলা। অমিত শাহ ও জেপি নাড্ডার জন্য ২৪টি সভা বরাদ্দ করা হয়েছে। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলায় করবেন ১৪টি সভা। কিন্তু কেন আচমকা বাংলা নিয়ে এত তৎপরতা বিজেপির?
দলের অন্দরমহল সূত্রে সামনে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। আসলে বাংলায় যে আসনগুলিতে বিজেপি সাংসদ রয়েছে সেখানে দলের তরফে তলায় তলায় খবর নেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই সামনে এসেছে বিস্ফোরক তথ্য। আসলে নাকি ১৮ লোকসভা আসনের মধ্যে একাধিক আসনে বিজেপির শক্তি কিছুটা দুর্বল হয়ে গিয়েছে। সেক্ষেত্রে সেই আসনে এখন ভোট হলে বিজেপি কতটা সুবিধা করতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। আর সেই নিরিখে আর কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না বিজেপি।
বিজেপির এক রাজ্য নেতার কথা শুধু এবার ১৮টি আসনে জয় ধরে রাখা নয়, এবার আমাদের টার্গেট কমপক্ষে ২৪টি আসন দখল করা। সেটাই টার্গেট ঠিক করে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
এক রাজ্য নেতার কথায়, আমাদের মূল লক্ষ্য লোকসভা নির্বাচন। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসল ঠিক করে দিয়েছেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার নিয়ে এমন প্ল্য়ান করতে হবে যে তৃণমূলের থেকে যেন বিজেপিকে বেশি চোখে পড়ে।
এদিকে বিজেপি সূত্রে খবর, বাংলার ৮০০০০ বুথের মধ্যে ৪০ শতাংশ বুথে বিজেপির বুথস্তরে শক্তি হয় খাতায় কলমে রয়েছে বা অত্যন্ত দুর্বল। এক বছরের মধ্য়ে সেই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।
এদিকে বামেরাও ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে। গত ১৭ ডিসেম্বর বাংলায় শাহের বৈঠকেও এই প্রসঙ্গ উঠে আসে। তবে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের কথায়, ৪০টি সভা কেন, ৪০০ সভা করেও কিছু হবে না। শাহকে স্বাগত। আমাদের দরজা খোলা। ভোটের আগে তাদের বাংলার কথা মনে পড়ে।
বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, সামনের ভোটে বিজেপির রাজনৈতিক মৃত্যু হবে।