বগটুই কাণ্ডের পর এবার নড়েচড়ে বসে পুলিশ প্রশাসন। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগকে আরও সক্রিয় থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কোন কোন এলাকা স্পর্শকাতর তা আলাদাভাবে চিহ্নিত করার কথাও বলা হয়েছে।
রাজ্য পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইন শৃঙ্খলা)–র তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় বিভিন্ন দলের মধ্যে বা একই দলের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব রুখতে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার অফিসারদের সক্রিয়ভাবে কাজে লাগাতে হবে। এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য নিজেদের কাছে রাখতে হবে। বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপার ও পুলিশ কমিশনারদের তাঁদের এক্তিয়ারের মধ্যে বিষয়টি নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, জেলার গোয়েন্দা শাখার অফিসারদের বিভিন্ন পুরসভা ও পঞ্চায়েত এলাকায় কোনটি বেশি স্পর্শকাতর ও কোনটি কম স্পর্শকাতর সেগুলি চিহ্নিত করে আলাদা তালিকা তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। যেখানে হিংসা ছড়াতে পারে বলে মনে হতে পারে, সেখানে আগে থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এদিন রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গ্রামবাসীদের সামনেই মুখ্যমন্ত্রী রাজ্য পুলিশের ডিজিকে নির্দেশ দেন, যাতে গ্রামবাসীদের সঠিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা দেওয়া হয়। সেইসময়ই পুলিশ প্রশাসনকে আরও সক্রিয় হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর ওই নির্দেশের পরই পুলিশ প্রশাসনের তরফে ১০ দিনের জন্য রাজ্যের সব পুলিশ সুপার, পুলিশ কমিশনার সহ আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করা হয়। বেআইনি অস্ত্রের খোঁজে বিশেষ অভিযান চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।