দিনভর পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি। দফায় দফায় উত্তেজনা। চাকরির দাবিতে প্রচন্ড গরমের মধ্যেও সল্টলেকের রাস্তায় বসে পড়েন কর্মপ্রার্থী নার্সরা। বিক্ষোভ সামাল দিতে রীতিমতো হিমসিম খায় ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ। তবে রাত নামতেই বদলে গেল চিত্রটা। পুলিশই বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করল বিক্ষোভকারী নার্সদের।
দিনভর আন্দোলনের পরেও দাবি মেটেনি তাঁদের। এদিকে অনেকেই বহু দূর থেকে স্বাস্থ্যভবনের সামনে জড়ো হয়েছিলেন । কিন্তু রাত নামতেই প্রশ্ন উঠতে থাকে কীভাবে বাড়ি ফিরবেন তাঁরা। রফা সূত্রও মিটছে না কিছুতেই। শেষ পর্যন্ত কিছুটা বাধ্য হয়েই রাস্তা থেকে উঠে পড়েন তাঁরা। কিন্তু বাড়ি ফিরবেন কীভাবে? অগত্যার সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিল পুলিশ।
পুলিশ দু- তিনটি বাসের ব্যবস্থা করে। পুলিশের ঠিক করা সেই বাসেই একে একে উঠে পড়েন বিক্ষোভকারীরা। সেই বেসরকারি বাসে চেপেই বিক্ষোভকারী নার্সরা একে একে শিয়ালদহ ও হাওড়া স্টেশনের দিকে রওনা দেন। সেখান থেকে ট্রেনে চেপে তাঁরা বাড়ি ফিরবেন। তবে এদিনকার মতো বাড়ি ফিরলেও তাঁরা যে রণেভঙ্গ দিচ্ছে এমনটা নয়। মঙ্গলবারের জন্য তাঁদের কর্মসূচি বহাল থাকছে।
তাঁরা এদিন সকালে জানিয়েছিলেন, তাঁরা ২০১৮-২০১৯-২০২০ সালে পাশ করেছেন। তাঁদের যোগ্যতা রয়েছে। তাঁদের অনেকেরই ইন্টারভিউতে পাশ করার পরেও চাকরি হয়নি। তবে কোভিড পিরিয়ডে তাঁরা অস্থায়ী ভাবে কাজ করেছেন বলে দাবি করেন। এদিকে পুলিশ বার বার তাঁদের রাস্তা ছেড়ে দেওয়ার জন্য বলে। কিন্তু তারা রাস্তা ছাড়েননি। এনিয়ে পুলিশের সঙ্গে তাঁদের চরম বচসা বেধে যায়। তবে রাতে পুলিশ আধিকারিকরাই তাদের জন্য বাসের ব্যবস্থা করে বাড়ি পাঠানোর বন্দোবস্ত করলেন।