দুর্গাপুজোর প্রাক্কালে বড়সড় ডাকাতির ছক কষা হচ্ছিল বরাহনগর এলাকায়। সন্ত্রাস তৈরি করে এই ডাকাতির পরিকল্পনা ছিল। তাই আগ্নেয়াস্ত্রও জোগাড় করা হয়েছিল। কিন্তু বরাহনগর থানার পুলিশের তৎপরতায় তা বানচাল হয়ে যায়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পুলিশ অফিসাররা সেখানে অভিযান চালায়। বরাহনগর সর্বহারা কলোনিতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র–সহ হাতেনাতে ধরা পড়ে পাঁচজন।
ঠিক কী ঘটেছে বরাহনগরে? স্থানীয় সূত্রে খবর, কুখ্যাত দুষ্কৃতী শুভম ভট্টাচার্য ওরফে কদম এবং তার চার সহযোগী মিলে এই ডাকাতির ছক কষেছিল। ডাকাতির উদ্দেশে বরাহনগর সোনাপট্টিতে জড়ো হয়েছিল তারা। মোটরবাইকে করে এসেছিল তারা। গ্রেফতার হওয়া এই পাঁচজনকে আজ ব্যারাকপুর আদালতে তোলা হবে। এই ডাকাতি করে তারা এলাকায় আতঙ্ক তৈরির চেষ্টা করেছিল।
পুলিশ কী তথ্য পেয়েছে? পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার ভোররাতে ওই দুষ্কৃতী দল যখন মোটরবাইকে চেপে ডাকাতির উদ্দেশে বরাহনগর সোনাপট্টিতে জড়ো হয়েছিল তখন সেখান থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। তল্লাশি চালিয়ে তাদের কাছ থেকে একটি বন্দুক, ১৪ রাউন্ড কার্তুজ, একটি চপার উদ্ধার করে তা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সঙ্গে যে মোটরবাইক ছিল সেটিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এরপরেই কদম–সহ পাঁচ দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের নাম অভিজিৎ সরকার, সুদীপ্ত সাউ, রবিশঙ্কর দত্ত চৌধুরী, শুভঙ্কর মালাকার। তাদের জেরা করা হয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? পুলিশ সূত্রে খবর, আরও আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধারের জন্য ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। বরাহনগরের সর্বহারা কলোনিতে কয়েকজন বহিরাগত যুবক এসে ঘাঁটি গেড়েছে বলে খবর মিলেছিল। পুলিশ খোঁজখবর করে জানতে পারে সেখানে আগ্নেয়াস্ত্র মজুত করা রয়েছে। তাই তাদের পাকড়াও করতে গোপনে অভিযান চালানো হয়। পুলিশ দেখেই তিনজন দুষ্কৃতী পালিয়ে যায়। বাকি পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।