বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Fraud loan: কল সেন্টারের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে ২০

Fraud loan: কল সেন্টারের মাধ্যমে ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণা, পুলিশের জালে ২০

কল সেন্টার খুলে প্রতারণা। (ছবিটি প্রতীকী, সৌজন্য এএনআই)

 গোয়েন্দারা ফেয়ারলি প্লেস ও নেতাজি সুভাষ রোডে দুটি কল সেন্টারে হানা দেন। সেখানে হানা দিয়ে সংস্থার মালিক রাজীব সিং সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি কম্পিউটার, তিনটি মনিটর, ১৮ টি মোবাইল ফোন, ৬০ টি ল্যান্ড ফোন এবং একাধিক নথিপত্র। 

কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণা সম্প্রতি বেড়েই চলেছে। কখনও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানোর নামে আবার কখনও মোবাইল টাওয়ার বসানোর নামে কল সেন্টারের মাধ্যমে প্রতারণার অভিযোগ প্রায়ই ওঠে। এবার ঋণ দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ উঠল। আর এই অভিযোগ পাওয়ার পরে বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস করল লালবাজার। প্রতারণার অভিযোগে ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা।

গোপন সূত্রে খবর পেয়ে লাল বাজারের গুন্ডা দমন শাখার গোয়েন্দারা ফেয়ারলি প্লেস ও নেতাজি সুভাষ রোডে দুটি কল সেন্টারে হানা দেন। সেখানে হানা দিয়ে সংস্থার মালিক রাজীব সিং সহ ২০ জনকে গ্রেফতার করেছে লালবাজারের গুন্ডা দমন শাখা। সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছে তিনটি কম্পিউটার, তিনটি মনিটর, ১৮ টি মোবাইল ফোন, ৬০ টি ল্যান্ড ফোন এবং একাধিক নথিপত্র।

কীভাবে প্রতারণা করা হতো?

ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন প্রথমে প্রতারকরা ফোন করে ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দিত। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন নামি সংস্থার নামে করে ঋণ দেওয়ার জন্য মানুষকে প্রলোভন দেখানো হতো। অনেকেই ঋণ নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতেন। আর তারপরে তাদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিত প্রতারকরা। বীমা ও প্রসেসিং ফি বাবদ তারা টাকা হাতিয়ে নিত বলে অভিযোগ। সম্প্রতি এরকম একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে পুলিশের কাছে। তারপরে পুলিশ তদন্তে নেমে ওই কল সেন্টারের হদিস পায়। পুলিশের অনুমান, একাধিক ব্যক্তির কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকার প্রতারণা করেছে অভিযুক্তরা। এর সঙ্গে আরও কারা জড়িত রয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। পাশাপাশি কতজনের সঙ্গে তারা এভাবে প্রতারণা করেছে? তাও খতিয়ে দেখছে।

বন্ধ করুন