পুরভোটের উত্তাপে সকাল থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে কলকাতা। বিভিন্ন জায়গায় অশান্তির অভিযোগ উঠেছে। মারধর, পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি, ছাপ্পা ভোট থেকে শুরু করে বোমাবাজির অভিযোগে সরগরম হয়ে উঠেছে শহরের বিভিন্ন ওয়ার্ড। এই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করেছে কলকাতা পুলিশ। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি শুভঙ্কর সিনহা জানিয়েছেন।
বেলা গড়াতেই পুরভোটকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কলকাতা। রাজ্য নির্বাচন কমিশন আদালতে জানিয়েছিল যে রাজ্য পুলিশের নজরদারিতে অবাধ এবং শান্তিপূর্ণ ভোট করা সম্ভব। যদিও বিরোধীরা প্রথম থেকেই পুরভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছিল। তবে নির্বাচন কমিশনের কথায় আস্থা রেখে কলকাতা হাইকোর্ট রাজ্য পুলিশ দিয়ে পুরভোট করানোর পক্ষে সায় দিয়েছিল।
কিন্তু, এদিন সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা যায় বহু বুথে। জোড়াবাগান এলাকায় ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী মীনাদেবী পুরোহিতকে হেনস্তা করার পাশাপাশি শাড়ি খুলে দেওয়া এবং ব্লাউজ ছিড়ে নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। নির্দল প্রার্থীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে। ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী চন্দন দাসও তৃণমূলের বিরুদ্ধে হেনস্তা করার অভিযোগ তোলেন। পাশাপাশি বাগবাজারে ভুয়ো ভোটার দিয়ে ভোট করানোর অভিযোগ তোলেন কংগ্রেস প্রার্থী সন্তোষ পাঠক।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ পরিস্থিতি কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনলেও পরে সেখানে বুথের ভেতরেই কংগ্রেস এবং তৃণমূল কর্মীদের মারপিট শুরু হয়ে যায় বলে অভিযোগ। এছাড়া, শিয়ালদহ টাকি স্কুলের সামনে পরপর দু'টি বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়।
পাশাপাশি ১০২, ১০৯, ১১০ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বুথ থেকে সিপিএম এজেন্টদের বাইরে বের করে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এছাড়াও সিপিএম এজেন্টকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এই সমস্ত ঘটনায় নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি পুলিশের নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। তবে এই অভিযোগের কথা অস্বীকার করেছেন কলকাতা পুলিশের জয়েন্ট সিপি। তিনি জানান,'আমরা যা যা অভিযোগ পেয়েছি সেই সমস্ত অভিযোগের ভিত্তিতে পদক্ষেপ নিয়েছি। এখনও পর্যন্ত ৭২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে পরবর্তী সময়ে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে তিনি জানিয়েছেন।