ঘণ্টার পর ঘণ্টা ডিউটি করে আরজিকরের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে গিয়েছিলেন তরুণী চিকিৎসক। তাঁকেই খুন করা হয়েছে। তদন্তে নেমে গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্তকে। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এদিকে তাকে যখন নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তখনও দেখা গিয়েছে তার শরীরী ভাষায় একেবারে ডোন্ট কেয়ার ভাব। ২৩ অগস্ট পর্যন্ত তার পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এমনকী তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, ওই ধৃতের মধ্যে অনুশোচনার লেশমাত্র নেই। এমনকী অভিযুক্ত একেবারে ভাবলেশহীন। রীতিমতো সে বলে দিচ্ছে, ফাঁসি দিলে দিন।
এদিকে অভিযুক্তের পেশার বিষয়টি কার্যত এড়িয়ে যাচ্ছেন পুলিশের শীর্ষ কর্তা। তবে সূত্রের খবর, ওই যুবক কলকাতা পুলিশের আওতাধীন সিভিক ভলান্টিয়ারের কাজ করত। আরজিকরে তার অবাধ যাতায়াত। যখন খুশি বেরোত, যখন খুশি ঢুকত।
কিন্তু অত রাতে আরজিকরের সেমিনার হলে ঢুকে পড়ল, কেউ কিছু বলল না? তবে কি আরজিকর চালাচ্ছে এরাই? প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।
শুক্রবার ভোরে আরজিকরে ঢুকেছিল ওই অভিযুক্ত। সে ভেতরে ৩০-৩৫ মিনিট ছিল। পরে বেরিয়ে আসে। কিন্তু ধস্তাধস্তিতে তার হেডফোনের একাংশ পড়ে গিয়েছিল সেমিনার হলে। আর সেটা দেখেই তদন্তের মোড় ঘুরে যায়।
এদিকে ধৃতের সম্পর্কে তার প্রতিবেশীদের দাবি, সে সব কিছু করতে পারে। মহিলাদের উপর অত্যাচার করাটা তার কাছে কোনও ব্যাপার নয়। কিন্তু এলাকায় সে নিজেকে কলকাতা পুলিশের কর্মচারী বলে দাবি করত।
এদিকে সূত্রের খবর, গ্রেফতার হওয়ার পরেও ঘটনার জন্য একটুও অনুশোচনা নেই তার। একেবারে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব। এমনকী তার মোবাইল থেকে প্রচুর পর্নোগ্রাফি উপাদান মিলেছে। সে অত্য়ন্ত বিকৃত মানসিকতার ছিল বলে খবর। সূত্রের খবর, রাত ১১টা নাগাদ সে একবার হাসপাতালে এসেছিল। এরপর সে বেরিয়ে গিয়ে মদ খায়। তারপর সে ভোরবেলা আবার হাসপাতালে প্রবেশ করে। এদিকে রাত তিনটে পর্যন্ত ওই তরুণী চিকিৎসক বিশ্রাম নিচ্ছিলেন খবর। সম্ভবত তারপরই এই ভয়াবহ কাণ্ড!
এবার প্রশ্ন কেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি ভোরবেলা হাসপাতালে গিয়েছিল? তবে কি কেউ তাকে খবর দিয়েছিল তরুণী চিকিৎসক ওই সেমিনার হলে রয়েছেন। তারপরই সে চলে গিয়েছিল সেমিনার হলে? অনেক প্রশ্ন। তবে সেমিনার হলে পড়ে থাকা হেডফোনের ব্লু টুথের সূত্র ধরেই খোঁজ মেলে অভিযুক্ত সঞ্জয় রায়ের। চেস্ট মেডিসিনের ভেতর দিয়ে যাওয়া যায় সেমিনার হলে। সেখানকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখেই বোঝা গিয়েছিল সঞ্জয় রায়ের উপস্থিতি।