মাদক এবং বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার চক্রের মাস্টারমাইন্ডকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম আহমেদ আলি। সে বিহারের বাসিন্দা। দীর্ঘদিন ধরেই বড়বাজারে শ্রমিক সেজে গা ঢাকা দিয়েছিল ওই ব্যক্তি। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বিহারের সিআইডির একটি দল কলকাতা পুলিশের সঙ্গে যৌথভাবে হানা দিয়ে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর ধৃতকে বিহারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তি বিহার থেকে শুরু করে বিভিন্ন জায়গায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র পাচার এবং বিভিন্ন ধরনের মাদক পাচার করত। মূলত বিহারের মুঙ্গেরে তৈরি হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র বিহার সহ বিভিন্ন জায়গায় পাচার করত। গত বছর থেকে এই চক্রটি সক্রিয় হয়েছিল। সম্প্রতি বিষয়টি জানতে পেরে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। ইতিমধ্যে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তবে এই চক্রের মাস্টারমাইন্ড আহমেদ আলিকে বেশ কয়েক মাস ধরে পুলিশ খুঁজছিল। জানা গিয়েছে, এই চক্রটি আগ্নেয়াস্ত্র ছাড়াও গাঁজা, হেরোইন এবং অন্যান্য মাদক পাচার করত। এমনকী বোমা এবং বিস্ফোরক পাচারও করত এই চক্র। আহমেদের খোঁজে বিহারের পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালায়। তবে তার সন্ধান মেলেনি।
শেষে আহমেদের পরিচিত এবং আত্মীয়দের মোবাইলের সূত্র ধরে তার খোঁজ পাওয়ার চেষ্টা করে বিহার পুলিশ। তাতে জানা যায়, কলকাতায় কোনও এক জায়গায় আত্মগোপন করে রয়েছে আহমেদ। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরেই বিহারের সিআইডি কলকাতা পুলিশের এসটিএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারে বড়বাজারে শ্রমিকের ছদ্মবেশে রয়েছে আহমেদ। একটি বাণিজ্যিক বহুতলে সে আত্মগোপন করে রয়েছে। রবিবার বিহার সিআইডির একটি টিম কলকাতায় এসে পৌঁছয়। সিআইডির সঙ্গে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা যৌথভাবে বড়বাজারের বেশ কয়েকটি বাড়িতে হানা দেয়। অবশেষে একটি বাড়িতে তার সন্ধান মেলে। সেখান থেকেই তাকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে বিহারে নিয়ে যায় সিআইডি। কলকাতায় আহমেদের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছে কিনা তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশ এবং বিহার পুলিশ যৌথভাবে তল্লাশি চালিয়ে বিহারের দুটি জায়গায় বেআইনি আগ্নেয়াস্ত্র কারখানার হদিশ পায়।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup