প্রাথমিকে শূন্য পদে নিয়োগের ইন্টারভিউ চলছে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনার চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ ছিল। সেই ইন্টারভিউ দিতে গিয়ে হাতেনাতে ধরা পড়ল ভুয়ো চাকরিপ্রার্থী। ওই চাকরি প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের আধিকারিকরা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছেন। ধৃতের নাম বাপ্পা দেবনাথ। তিনি উত্তর ২৪ পরগনার গাইঘাটার মরালডাঙ্গার বাসিন্দা। ধৃতকে বিধাননগর পূর্ব থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে বলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ সূত্রে জানা গিয়েছে।
প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি ড: পার্থ কর্মকার জানিয়েছেন, ২০১৪ ও ২০১৭ সালের টেট উত্তীর্ণ চাকরিপ্রার্থীদের ইন্টারভিউ চলছে। আজ দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার জন্য ইন্টারভিউ চলছিল। তার জন্য ইন্টারভিউ দিতে সেকেন্ড হাফে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অফিসে এসেছিলেন ওই প্রার্থী। ইন্টারভিউয়ে তার যাবতীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত নথি খতিয়ে দেখতে গিয়ে আধিকাররা জানতে পারেন ওই প্রার্থীর ডিএলএড সার্টিফিকেট জাল করা। ওই সার্টিফিকেটটি ২০১৬ সালে রেজিস্ট্রেশন করা। তার ডিএলএডের অ্যাডমিট, সার্টিফিকেট, রেজিস্ট্রেশন সব জাল ছিল বলে তিনি জানিয়েছেন। ওই আধিকারিক জানান, ‘আমরা তাকে ধরে ফেলি, ইন্টারভিউ দিতে দেইনি। আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছি। তাকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি। নথি যাচাইয়ের জন্য যারা ছিলেন তারাই আমাকে বলেন সার্টিফিকেটটা কেমন লাগছে। সঙ্গে সঙ্গে আমাদের পিটিটিআই সেল ইনচার্জকে ডাকি। এরপর নথির রেকর্ড আমরা খতিয়ে দেখি। তারপরে জানতে পারি, ওই প্রার্থীর রেজিস্ট্রেশনে যে নম্বর রয়েছে আসলে ২০১৬ সালে ওই নম্বরের কোনও রেজিস্ট্রেশনের অস্তিত্ব নেই।’
ওই প্রার্থীর দাবি, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার রেনুকা প্রাইমারি টিচার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট নামে একটি ডিএলএড কলেজ থেকে তিনি ডিএলএড করেছিলেন। শুধু তাই নয় তিনি দাবি করেছেন ২০১৪ সালের টেট উত্তীর্ণ হয়েছেন তিনি। তবে ডিএলএড সার্টিফিকেটটি ল্যামিনেশন করা থাকায় এবং তার রং আলাদা থাকায় আধিকারিকদের সন্দেহ হয়। কীভাবে এবং কোথা থেকে ওই যুবক ভুয়ো সার্টিফিকেট পেল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup