মালিকের প্রায় ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিয়েছিল চোর ভৃত্য। আর তাকে যাতে ধরা না যায় তার জন্য সার্কাসের কর্মীর ছদ্মবেশ ধরেছিল। এভাবেই গা–ঢাকা দিয়েছিল সে। এমনকী কলকাতা থেকে বিহারে পালিয়ে গিয়েছিল। তবে আবার দক্ষিণ কলকাতার পাটুলিতে এসে সার্কাসে কাজ নেয় সে। ভেবেছিল সব থিতিয়ে গিয়েছে। কিন্তু মালিক থানায় অভিযোগ দায়ের করে রেখেছিল। পুলিশ তদন্ত করতে শুরু করলে বিহার থেকে গোপন সূত্রে খবর আসে। সেই খবরের উপর ভিত্তি করে দর্শক সেজে কলকাতার চারটি সার্কাসে হানা দেয় বড়বাজার থানার পুলিশ। তখনই শনাক্ত করা হয় চোরকে। এমনকী নারকেলডাঙার একটি বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় ১ লাখ টাকা। আর পাটুলি থেকে গ্রেফতার করা হয় চোরকে।
ঠিক কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, সার্কাস কর্মীর ছদ্মবেশ নিলেও শেষ রক্ষা হয়নি। গ্রেফতার হওয়া যুবকের নাম মহম্মদ নৌসাদ। গত কুড়ি বছর ধরে কাজ করছিল বড়বাজারের একটি দোকানে। তবে ২০২২ সালের মে মাসে নৌসাদকে তার গদির মালিক ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা ব্যাঙ্কে জমা দিতে দেন। কিন্তু সে ব্যাঙ্কে টাকা জমা না দিয়ে সেই টাকা নিয়ে চম্পট দেয়। এই নিয়ে বড়বাজার থানায় অভিযোগ দায়ের হলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে।
কেমন করে ধরা পড়ল চোর? নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তেতে বিহারে যায় পুলিশ। সেখানে গিয়ে জানতে পারে, বাড়িতে একসপ্তাহের জন্য এসে বেশ কিছু টাকা খরচ করেছিল নৌসাদ। তার পর সেখান থেকে চলে গিয়েছে সে। তদন্তে নেমে পুলিশ অফিসাররা গোপন সূত্রে জানতে পারেন, নৌসাদ আবার কলকাতায় ফিরে এসেছে। আর কোনও সার্কাসে কাজ জোগাড় করেছে। এই তথ্য পেয়েই সার্কাসে হানা দেয় পুলিশ দর্শক সেজে।
আর কী জানা যাচ্ছে? কলকাতা–সহ চারটি সার্কাসে হানা দেয় পুলিশ। দর্শক সেজে সার্কাসে গিয়ে নৌসাদের ছবি দেখায় পুলিশ। সেখান থেকে কিছু তথ্য পায় পুলিশ। তারপর সেই তথ্যের উপর নির্ভর করে পাটুলির সার্কাসে যায় পুলিশ। সেখানে যেতেই নৌসাদকে চিনতে পারে পুলিশ। কয়েকদিন আগেই সার্কাসে এসে নৌসাদ ধোয়া, মোছা ও গাড়ি চালানোর কাজ করছিল। পুলিশ নৌসাদকে ঘিরে ফেললে পালানোর চেষ্টা করে সে। তখনই তাকে গ্রেফতার করা হয়। এখন টাকা উদ্ধার করতে তাকে জেরা করা হচ্ছে বলে খবর।