ফাঁকা বাড়ি পেয়ে ঘরের দরজার তালা ভাঙা ভিতরে ঢুকেছিল চোর। কিন্তু, পালিয়ে যাওয়ার আগেই সেখানে গিয়ে চোরকে ধরে ফেলল পুলিশ । আর এমনটা সম্ভব হয়েছে গৃহবধূর উপস্থিত বুদ্ধি ও ঠান্ডা মাথায় চিন্তাভাবনার কারণে। আসলে গৃহবধূ বাইরে থেকে বাড়িতে ফিরে তালা ভাঙা দেখে বুঝতে পারেন কেউ ভিতরে রয়েছে। তারপরেই বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে দেন। এরপর খবর পেয়ে পুলিশ এসে হাতেনাতে চোরকে ধরে ফেলে। ঘটনাটি বেহালার।
আরও পড়ুন: দামী গাড়ি চেপে, বাউন্সার নিয়ে চুরি, অবশেষে 'ভিআইপি' চোরকে বাগে পেল পুলিশ
জানা গিয়েছে, টুসি দাস (৫০) নামে ওই মহিলার স্বামীর একটি দোকান রয়েছে বেহালার সাখেরবাজারের নারায়ণ রায় রোডে। সেটি তাদের বাড়ি থেকে মাত্র ১০ মিটার দূরে অবস্থিত। সন্ধ্যায় তাঁর স্বামী দোকানে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরে টুসিও বাড়িতে তালা লাগিয়ে দোকানে যান। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরে বাড়িতে ফিরে এসেই তিনি কিছুটা হতভম্ব হয়ে যান। তিনি দেখেন ঘরের তালা ভাঙা রয়েছে। দরজাও খোলা রয়েছে। আর ঘরের ভিতরে সবকিছু ওলটপালট হয়ে রয়েছে। তা দেখা মাত্রই ভিতরে ঢোকেনি গৃহবধূ। তিনি ঘাবড়ে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচিও করেননি। চোরকে বিন্দুমাত্র বুঝতে না দিয়ে গুটি গুটি পায়ে তিনি এক প্রতিবেশীর কাছে যান। সেখান থেকে একটি তালা নিয়ে এসে বাইরে দরজা বন্ধ করে দেন। গৃহবধূর কথায়, ‘আমি বুঝতে পারছিলাম ঘরে একজন অপরিচিত লোক আছে। আমি চুপচাপ আমার স্বামীকে দোকান থেকে ডেকে আনি। আমরা একজন প্রতিবেশীর কাছ থেকে একটি তালা নিয়ে দরজা বাইরে থেকে বন্ধ করে দিই। তবে যখন তালা মারি তখন চোর বুঝতে পেরেছিল এবং ছেড়ে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছিল। এরপর আমরা ১০০ নম্বরে ডায়াল করে পুলিশকে জানায়।’
পরে ঠাকুরপুকুর থানার পুলিশ তাদের বাড়ি এসে চোরকে হাতেনাতে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ইসরাইল গাজী। সে দক্ষিণ ২৪ পরগণার বিষ্ণুপুরের বাসিন্দা। তবে পরিবারটি দাবি করেছে, তাদের বাড়ি থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা, বেশ কয়েকটি শাড়ি এবং একটি মোবাইল ফোন খুঁজে পায়নি। দম্পতির সন্দেহ, চোরের আরও কোনও সঙ্গী ছিল। সে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়েছে। পুলিশ গৃহবধূর বুদ্ধিমত্তার প্রশংসা করেছে। তার এমন উপস্থিত বুদ্ধির জন্য প্রতিবেশীরাও প্রশংসা করেছেন।
টুসি আরও জানান, ‘চোর ভিতরে প্রবেশের জন্য তালা ভেঙেছিল। তবে আমরা চোর বলে চিৎকার করিনি। শুধু বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে পুলিশকে ফোন করি। প্রায় এক ঘণ্টা পর পুলিশ এসে অভিযুক্তকে ধরে নিয়ে যায়।’