বড় বাজারের ব্যবসায়ী খুনের কিনারা করল পুলিশ। গত রবিবার খুন হয়েছিলেন পোস্তার স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেই খুনের ঘটনায় মাত্র তিনদিনের মাথায় তিনজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। উত্তরপ্রদেশ থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশের প্রথম থেকেই অনুমান ছিল, এই খুন ব্যক্তিগত শত্রুতার কারণে নয়, লুঠের উদ্দেশ্যে খুন। ধৃতদের কাছ থেকে ২ কোটি ৮০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না উদ্ধার হয়েছে।
মৃত ব্যবসায়ীর নাম দিলীপ কুমার গুপ্তা। রবিবার হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পোস্তার দোতলা বাড়ি থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। সেইসঙ্গে, তার মাথায় এবং মুখে একাধিক আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়। এ ঘটনার পরেই তদন্তে নামেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। বাড়ির ঠিক সামনেই থাকা সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ খুনের ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত করে। এরপরে গোয়েন্দাদের একটি দল উত্তরপ্রদেশে হানা দেয়। সেখানে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সহযোগিতায় গাজিয়াবাদের বাসিন্দা করণ বর্মা, আলিগড়ের বাসিন্দা রূপকিশোর কুশওয়াহা এবং মেরঠের বাসিন্দা সুশীল কুমারকে গ্রেফতার করে। এর মধ্যে একজন দোকানের পুরনো কর্মী ছিলেন।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওই স্বর্ণ ব্যবসায়ী জামাইয়ের দোকান দেখাশোনা করতেন। রবিবার দুপুরে ওই দোতলা বাড়ির একতলার একটি ঘর থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়। প্রথমে ঘরের ভিতর গদিতে মুখ থুবড়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন দোকানেরই এক কর্মচারী। তিনি পুলিশে ফোন করে বিষয়টি জানিয়েছিলেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, প্রথমে পিছন থেকে তার মাথায় ভারী কোনও বস্তু দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপরে তার হাত পা বেঁধে মুখে মাথায় বেশ কয়েকবার আঘাত করে খুন করা হয়।