এন্টালিতে মঙ্গলবার অঞ্জলি কুমারী খুন হন। এই তরুণীকে খুনের অভিযোগে দু’জনকে বিহার থেকে গ্রেফতার করল কলকাতা পুলিশ। বিহারের বাসিন্দা অঞ্জলি কলকাতায় এসেছিলেন চিকিৎসার জন্য। আর তাঁকেই গলা কেটে খুন করা হয়। শিয়ালদা স্টেশনের সামনে রেলের পরিত্যক্ত কোয়ার্টার থেকে উদ্ধার হয়েছিল গলা কাটা অঞ্জলির দেহ। তখনই তিন পরিচিতের বিরুদ্ধে খুনের মামলা দায়ের হয়। এবার গ্রেফতার করা হল দু’জনকে। ধৃতদের নাম প্রেম রাই এবং মুন্না রাই। মঙ্গলবার বেশি রাতে তাঁদের বিহারের তর্জনী এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কেন খুন করা হয় অঞ্জলিকে? তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, এই প্রেম রাই চেয়েছিল তাঁর মেয়েকে বিয়ে করুক চিত্তরঞ্জন। কিন্তু এই চিত্তরঞ্জন বিহার থেকে কলকাতায় অঞ্জলিকে নিয়ে আসায় সন্দেহ হয় হবু শ্বশুর প্রেম রাইয়ের। আর এই সন্দেহের বশেই তাঁর ছেলে মুন্না রাইকে সঙ্গে নিয়ে খুন করা হয় অঞ্জলিকে। এই যুবকই পুলিশের কাছে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। আর চিত্তরঞ্জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গোটা ঘটনাটি।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, চিত্তরঞ্জনের দাদা বিহারে মারা গিয়েছিলেন সম্প্রতি। তাই পরিবারের রীতি অনুযায়ী, বিধবা বৌদির সঙ্গে তাঁর বিয়ে ঠিক করে দেওয়া হয়। চিত্তরঞ্জন যখন অঞ্জলিকে নিয়ে কলকাতায় আসেন, তখন বিহার থেকে চলে এসেছিলেন তাঁর হবু শ্বশুরও। এই ঘটনায় মোট তিনজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে পুলিশ। তাঁদেরই দু’জনরে গ্রেফতার করা হয়।
আর কী জানা গিয়েছে? প্রেম, মুন্নারা চিত্তরঞ্জনকে মারতে গেলে তিনি পালিয়ে যান। কিন্তু তরুণী অঞ্জলি ক্লান্ত শরীরে বুঝতে পারেননি কী হতে চলেছে। তাই তিনি পালাতেও পারেননি। তাই তাঁর গলায় ধারাল অস্ত্রের কোপ বসিয়ে দেয় প্রেম, মুন্নারা। রক্তাক্ত অবস্থায় এনআরএস হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়। ক্রমাগত রক্তপাতের ফলে মৃত্যু হয় তাঁর। তবে খুন যারাই করেছে তারা চিত্তরঞ্জনের পূর্বপরিচিত বলেই মনে করছে পুলিশ।