মধ্যরাতে বিধাননগরের করুণাময়ীতে আন্দোলনরত চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদ করতে গিয়ে পুলিশি হামলার মুখে বাম ছাত্রযুবরা। শুক্রবার দুপুরে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বাঁধে। আন্দোলনকারীদের প্রিজন ভ্যানে তুলতে ঝাঁপিয়ে পড়েন পুলিশকর্মীরা। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আন্দোলনকারীরাও। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়সহ আন্দোলনকারীদের সরাতে সক্ষম হন পুলিশকর্মীরা। তবে এদিনের আন্দোলনের ঝাঁঝে SFI – DYFI বুঝিয়ে দিয়েছে এবার থেকে সহজে তারা ছাড়বে না পুলিশকে।
শুক্রবার বেলা ১২টা নাগাদ করুণাময়ী চত্বরে অবস্থানে বসেন বাম ছাত্রযুবরা। নেতৃত্বে ছিলেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ঘিরে ধরে পুলিশ। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একাধিক প্রিজন ভ্যান। এর পর পুলিশকর্মীরা এলাকা খালি করে দিতে নির্দেশ দেন। জানান, এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। কিন্তু আন্দোলনকারীদের তরফে জানানো হয় যে জায়গায় তাঁরা বসে রয়েছেন সেখানে ১৪৪ ধারা নেই। কতদূর পর্যন্ত ১৪৪ ধারা রয়েছে তা পুলিশকে জানাতে হবে। এসব নিয়ে বিতণ্ডা চলাকালীনই আন্দোলনকারীদের হাত – পা ধরে টানাটানি শুরু করেন পুলিশকর্মীরা। পালটা সহযোদ্ধাদের জড়িয়ে ধরেন অন্য আন্দোলনকারীরা। ফলে সহজে কাউকে টেনে প্রিজন ভ্যানে তুলতে পারেননি পুলিশকর্মীরা।
সরকারি কর্মীকে বেঁধে রাখা হল রেললাইনে, ট্রেনে কাটা গেল পা, কেতুগ্রামে শিহরণ
এর পর ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আরও বাহিনী। সবাই মিলে টেনে - হিঁচড়ে বামপন্থী ছাত্রদের প্রিজন ভ্যানে তোলেন। প্রিজন ভ্যানে তোলা হয় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, কলতান দাশগুপ্তকেও। মীনাক্ষী বলেন, গণতান্ত্রিক দেশে প্রতিবাদ করার অধিকার সবার রয়েছে। আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ করছিলাম। পুলিশ আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। এই রাজ্যে সাদা খাতা জমা দিয়ে যারা চাকরি পেলেন তাদের প্রতি মুখ্যমন্ত্রী সহানুভূতিশীল। আর যারা যোগ্য প্রার্থী তাদের ন্যায্য আন্দোলনকে মাঝরাতে পুলিশ দিয়ে পিটিয়ে তুলে দিলেন। মানুষ সব দেখছে। আগামী ভোটে বিচার হবে।