জয়ন্ত সিং। শুক্রবার তাকে নিয়ে আসা হয়েছিল তালতলা স্পোর্টিং ক্লাবে। সেই ক্লাবের ভিডিয়োকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেখানে একজনকে তালিবানি কায়দায় মারধর করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই ক্লাবেই ঘটনার পুনর্নির্মানের জন্য এদিন জয়ন্তকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আর সেই ক্লাব থেকে বেরিয়ে আসার সময় সাংবাদিকদের সামনে তুমুল মেজাজ দেখান জয়ন্ত। জয়ন্ত সিং বের হওয়ার সময় দেখা যায় একেবারে ডোন্ট কেয়ার মনোভাব তার। একেবারে বেপরোয়া মনোভাব। পুলিশ সামনেই সাংবাদিকদের বুম সরিয়ে দিয়ে, সাংবাদিকদের সরিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, চল এখান থেকে।
এরপর গিয়ে গাড়িতে গিয়ে বসেন তিনি। সেখানে বসেও তিনি একেবারে বেপরোয়া। দুপাশে বসে আছে পুলিশকর্মীরা। তাতে কি। মাথা নীচু করে বসে থাকার কোনও ব্যাপার নয়। একেবারে বেপরোয়া মনোভাব।
সাংবাদিকরা তাকে মদন মিত্রের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতার প্রসঙ্গ তোলেন। জয়ন্ত বলেন, কোনও যোগ নেই। নেতাদের সঙ্গে সবার ছবি থাকে। মারধরের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমায় কি দেখেছিলেন? যে ছিল শাস্তি পাবে।
আর ক্লাব থেকে বেরিয়ে তিনি যেভাবে সাংবাদিকদের সরিয়ে দেন ঠেলে সেটা অনেকের নজর কাড়ে। এদিকে জয়ন্ত বেরিয়ে যাওয়ার পরেই তালতলা ক্লাব সিল করে দেওয়া হয়। তবে বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, ক্লাব সিল করে কী হবে। আজ সিল করছে। কাল আবার খুলে দেবে। কিন্তু এই ক্লাবকে পুরোপুরি তুলে দেওয়া দরকার। কারণ এই ক্লাব থেকে আগামী প্রজন্মের কোনও মস্তান মাফিয়া যাতে তৈরি না হয় সেটা দেখা দরকার।
এদিকে বিরোধীদের দাবি, তৃণমূল দল এই জয়ন্ত সিংয়ের মতো দুষ্কৃতীদের পাশে রয়েছে। সেকারণেই তারা এমন বেপরোয়া মনোভাব দেখাতে পারছে।
তবে তৃণমূল নেতা শান্তনু সেন সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নেতৃত্বাধীন তৃণমূল দল এই ধরনের কাজকে সমর্থন করে না। পুলিশ তাদের একাধিকবার গ্রেফতার করেছে।
এদিকে জয়ন্ত সিংয়ের মাফিয়া রাজকে ঘিরে একের পর এক তথ্য সামনে আসছে। জমি জবরদখলের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। এলাকায় রীতিমতো দুষ্কৃতীরাজ চালাত সে। সব মিলিয়ে জয়ন্ত রায়ের দাপটে এলাকার লোকজন কার্যত সিঁটিয়ে থাকত। এমনকী পরিস্থিতি এমনই যে তৃণমূলের একাংশও জয়ন্ত রায়ের দাপটে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকতেন। সেই জয়ন্ত রায় জেল থেকে বের হওয়ার পরে কী ধরনের ভূমিকা নেবে তা নিয়ে রাতের ঘুম উড়েছে অনেকেরই।