লেক গার্ডেন্সে প্রেমিকাকে গুলি করে যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় উঠে আসছে ‘ত্রিকোণ’ প্রেমের তত্ত্ব। নিহত যুবক রাকেশ কুমার শাহের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সুইসাইড নোট এবং তার সঙ্গিনীর বয়ান থেকে প্রাথমিকভাবে সেই তথ্যই জানতে পারছেন তদন্তকারীরা। ঘটনায় রাকেশের মৃত্যু হলেও তার প্রেমিকা এখনও ভর্তি রয়েছেন হাসপাতালে। তার অবস্থা স্থিতিশীল বলেই জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
আরও পড়ুন: পরপর চলল ৩০ রাউন্ড গুলি, বার্গার কিংয়ে শুটআউটের হাড়হিম করা ভিডিয়ো প্রকাশ্যে
বুধবার বিকেলে লেক গার্ডেন্সের ‘নিউ মেট্রো’ নামে একটি অতিথিশালায় প্রথমে প্রেমিকাকে পেটে গুলি করে রাকেশ। এরপর তিনি নিজেকে গুলি করে আত্মহত্যা করেন। ঘটনায় তড়িঘড়ি জখম অবস্থায় তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। তদন্তকারীরা তরুণীর কাছ থেকে জানতে পেরেছেন, তাঁকে একপ্রকার জোর করেই লেক গার্ডেন্সের ওই অতিথিশালায় ডেকেছিল রাকেশ। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, তরুণীর সঙ্গে সম্প্রতি এক যুবকের ঘনিষ্ঠতা বেড়েছিল। তা মোটেও পছন্দ ছিল না রাকেশের। দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কে তৃতীয় ব্যক্তির একেবারেই রাকেশ মেনে নিতে পারেননি। তবে এরফলে দুজনের মধ্যে কিছুটা দূরত্ব দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। যা নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝামেলা হত। রাকেশের আশঙ্কা ছিল, তৃতীয় ব্যক্তির জন্য তার প্রেমিকা তাকে ছেড়ে যেতে পারে। সেই আশঙ্কার কারণে প্রেমিকার সঙ্গে সরাসরি কথা বলার জন্য তাকে লেক গার্ডেন্সের ওই অতিথিশালায় ডেকে পাঠায় রাকেশ।
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, প্রেমিকাকে খুন করে আত্মঘাতী হওয়ার পরিকল্পনা যুবকের আগে থেকেই ছিল। সেই কারণে সে বন্দুকটি নিয়ে গিয়েছিল। শুধু তাই নয় যুবকের ব্যাগ থেকে যে সুইসাইড নোটটি উদ্ধার হয়েছে সেটিও আগেই লেখা হয়েছিল। কারণ প্রেমিকাকে গুলি করার পর অল্প সময়ের মধ্যে এই সুইসাইড নোট লিখে আত্মহত্যা সম্ভব ছিল না।
পুলিশ সূত্রের খবর, রাকেশ একজন সিভিল ডিফেন্স ভলেন্টিয়ার ছিলেন। ফলে তার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র থাকা সম্ভব ছিল না। এই অবস্থায় কোথা থেকে তিনি আগ্নেয়াস্ত্র পেয়েছেন? তা জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, এর আগেও একাধিবার ওই অতিথিশালায় দুজনে গিয়ে থেকেছেন। তবে বুধবারের ঘটনার পর থেকে দুটি মদের বোতল উদ্ধার হয়েছে। যার মধ্যে একটি বোতলের মুখ খোলা থাকলেও অন্যটি বন্ধ ছিল। এ বিষয়ে আরও তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।