প্রভাতের তিলোত্তমায় তাঁকে সাইকেল চালিয়ে শহরের নিরাপত্তা ঘুরে দেখতে দেখা গিয়েছিল। এবার রাতের কল্লোলিনী কলকাতার নিরাপত্তা বাড়াতে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্র। কলকাতা পুলিশের অপরাধ–দমন বৈঠক বসেছিল আলিপুর বডিগার্ড লাইন্সে। সেখানেই নগরপাল সহকর্মীদের কাছে জানতে চান, রাতের মহানগরীর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হলে কী কী করা উচিত? লালবাজার সূত্রে খবর, কমিশনার জানান, রাতের নিরাপত্তা আরও নিশ্ছিদ্র করতে হবে।
সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের থানাগুলি এবং সেখানকার পুলিশকর্মীরা গভীর রাতে কতটা সজাগ থাকেন তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে নিজেই পরিদর্শনে বেরিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার স্বয়ং। গভীর রাতে আচমকা শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘোরেন তিনি। রাতের শহরে পুলিশি সক্রিয়তা কেমন থাকে ঘুরে দেখেন তিনি। সেই রাতে বেশ কয়েকটি থানাতেও গিয়েছিলেন তিনি। তারপরেই মাসিক অপরাধ–দমন বৈঠকে রাতের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা করেছেন তিনি।
এখন রাতের নিয়ন্ত্রণবিধি (কার্ফু) খানিকটা শিথিল করা হয়েছে। রাত ৯টার পরিবর্তে রাস্তায় বেরোনোর উপরে বিধিনিষেধ এখন চালু হচ্ছে ১১টা থেকে। সুতরাং রাতের শহরে গাড়ির সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে এবং পানশালা–রেস্তরাঁও খোলা থাকবে আর একটু বেশি সময়ে। তাই রাতের দিকে পুলিশের সক্রিয়তায় যাতে কোনওরকম শিথিলতা না আসে তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল।
তাঁর নির্দেশ, শহরের যে সমস্ত জায়গায় প্রাতর্ভ্রমণকারীরা হাঁটতে যান, সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাও আঁটোসাটো করতে হবে। ময়দান এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থাই উদাহরণ হিসাবে তুলে ধরা হয়েছে। সম্প্রতি ময়দান এলাকায় প্রাতর্ভ্রমণকারীর উপর হামলা ও ছিনতাইয়ের একটি ঘটনা ঘটার পরে সেখানে সাইকেল নিয়ে পরিদর্শনে গিয়েছিলেন তিনি। ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়াল–সহ ময়দানের সর্বত্র পুলিশকর্মীদের টহলদারি বাড়ানো হয়।
লালবাজার সূত্রে খবর, বৈঠকে ওসিদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তদন্তকারী অফিসার বদলি হলে কেস ডায়েরি যেন দ্রুত অন্য কোনও অফিসারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সাইবার অপরাধীরা নিজেদের অপরাধের কৌশল বদলে ফেলছে। তাই এই ধরনের অপরাধ দমনে বাহিনীকে আরও সক্রিয় হতে হবে। তদন্ত করে অপরাধের কিনারায় আরও বেশি জোর দিতে বলা হয়েছে।