আরজি কর আবহে বহু ক্লাব দুর্গাপুজোর সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছে। তারপরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্লাবগুলিকে উৎসবে ফেরার অনুরোধ জানিয়েছেন। কিন্তু, সেই পরিস্থিতিতে রানাঘাটের একটি ক্লাবকে দুর্গাপুজোর অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। আর তার কারণ রানাঘাটের ওই ক্লাবটি এবার ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করেছে, যা আগে কখনও দেখা যায়নি। সেই কারণে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় অনুমতি দিচ্ছে না পুলিশ। তাই অনুমতি চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ওই পুজো ক্লাব। মামলার আইনজীবী বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের কাছে এ বিষয়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: চারিদিকে এবার সাজ সাজ রব, পুজোর আগেই পাঠান শারদীয়ার শুভেচ্ছা
এর আগে ২০১৫ সালে দেশপ্রিয় পার্কে বিশাল দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল। তার উচ্চতা ছিল ৮০ ফুট। এছাড়া ২০১৭ সালে অসমের গুয়াহাটিতে ১০০ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়েছিল। তবে রানাঘাটের পুজো ক্লাবের বক্তব্য, এর আগে কখনও এত বড় দুর্গা প্রতিমা তৈরি হয়নি। সে ক্ষেত্রে তারা নজির গড়তে পারে। রানাঘাটের কামালপুর এলাকায় অবস্থিত এই পুজো ক্লাবের নাম হল অভিযান সংঘ। নববর্ষের পর থেকেই তারা দুর্গা পুজোর আয়োজন শুরু করে দিয়েছে। সেই পুজো প্রস্তুতি একেবারে শেষ লগ্নে রয়েছে। তবে এখন পুলিশ অনুমতি দিচ্ছে না বলে অভিযোগ। তার ফলে সমস্যায় পড়েছে উদ্যোক্তারা। তাই তারা কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। পুলিশ যাতে অনুমতি দেয় কলকাতা হাইকোর্টে সেই আবেদন জানিয়েছেন তারা।
পুলিশের দাবি, এত বড় দুর্গা প্রতিমা হলে স্বাভাবিক ভাবেই তা দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় করবেন। ফলে সেক্ষেত্রে পদ পিষ্ট হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। সে কথা ভেবেই পুলিশ প্রশাসন কোনও ঝুঁকি নিতে চায়ছে না। উদাহরণ দিয়ে পুলিশের তরফে জানানো হয়, ২০১৫ সালে কলকাতার দেশপ্রিয় পার্কে যে পুজোর আয়োজন করা হয়েছিল তাতে প্রচুর ভিড় হয়েছিল। সেবার ভিড় সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়েছিল। ভিড়ের চাপে প্রতিমা দর্শন বন্ধ করে দিতে হয়েছিল। ২০১৭ সালে অসমের গুয়াহাটিতেও যে ১০০ ফুটের দুর্গাপ্রতিমা তৈরি হয়েছিল উদ্বোধনের আগেই তা ভেঙে গিয়েছিল। তবে রানাঘাটের ক্লাবকে পুলিশ অনুমতি না দেওয়া শেষ মুহূর্তে এসে বিপাকে পড়েছেন উদ্যোক্তারা। সেই কারণেই আদালতে আবেদন জানিয়েছেন তারা।