পার্ক সার্কাসে পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় এখনও থমথমে এলাকা। প্রাথমিকভাবে পুলিশ কনস্টেবল চুডুপ লেপচা মানসিক অবসাদের কারণেই এরকম ঘটনা ঘটিয়েছিলেন বলে পুলিশের দাবি ছিল। কিন্তু, আদৌও মানসিক কারণ নাকি এই ঘটনার পিছনে প্রেমজনিত কারণ রয়েছে সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পুলিশ কনস্টেবলের এলোপাতাড়ি গুলিতে মৃত্যু হয়েছে হাওড়ার দাসনগরের বাসিন্দা রিমা সিংহ। আহত হয়েছেন মহম্মদ বসির আলম নোমানি নামে এক ব্যক্তি। এই ঘটনার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে নতুন তথ্য পেয়েছে পুলিশ।
প্রথমে মনে করা হয়েছিল হাওড়ার বাসিন্দা ওই মহিলা র্যাপিডোতে করে যাচ্ছিলেন। কিন্তু, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই মহিলা মহম্মদ বসির আলমের বাইকে যাচ্ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজে দেখা গিয়েছে ওই বাইক লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি চালিয়েছিলেন লেপচা। যার মধ্যে একটি লাগে মহম্মদ বসির আলমের কাঁধে এবং অন্যটি ওই মহিলার গায়ে লাগে। এখন রিমার সঙ্গে বসিরের পূর্ব পরিচিত ছিল কিনা অথবা রিমা কোথায় থেকে বসিরের বাইকে উঠেছিল সে সমস্ত কিছু জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। অন্যদিকে, পুলিশ কনস্টেবল কেনই বা ওই বাইক লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি চালাল তাও ভাবাচ্ছে পুলিশকে। তদন্তকারীদের বক্তব্য, আশেপাশে অনেক গাড়ি ছিল, তাছাড়া অনেক লোকজনও দাঁড়িয়েছিল। তাহলে কেন ওই পুলিশ কনস্টেবল রিমার ওই বাইককে লক্ষ্য করে পরপর দুটি গুলি চালাল?
এক পুলিশকর্তা জানান, অতীতে প্রেম ভালোবাসার কারণে শহরে অনেক খুনের ঘটনা ঘটেছে। এখন পুলিশ কনস্টেবলের ক্ষেত্রেও সেরকমটি হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বসির। সুস্থ হলেই তাকে এ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। একইসঙ্গে রিমা এবং ওই পুলিশ কনস্টেবলের কল লিস্ট খতিয়ে দেখছে পুলিশ।