রাজভবনের যে অংশে রাজ্যপাল থাকেন সেখানে ২ পুলিশ কর্মীর গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় তাদের সরে যেতে বলা হয়। কিন্তু তার পরও তাঁরা ফিরে আসেন। বিষয়টি রাজভবন থেকে প্রশাসনকে জানানো হয়। রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এবং অফিসিয়াল এলাকা কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দেওয়ার জন্য বলা হয়। সেই মতো রাজভবনের রেসিডেন্সিয়াল এলাকা এবং রাজ্যপালের অফিস থেকে পুলিশ কর্মী সরিয়ে দিল লালবাজার। সেই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সিআরপিএফকে।
রাজভবনের ভিতরে অনেকগুলি ভাগে রয়েছে। একতলায় লাইব্রেরি, দোতলায় অফিস এবং তিনতলায় রাজ্যপালের আবাসিক এলাকা রয়েছে। দুই পুলিশের গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় রাজভবন থেকে বলা হয় রেসিডেন্সিয়াল এবং অফিস কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দেওয়া হোক। সেই মতো রাজভবনের দুটি অংশের নিরাপত্তার হার কেন্দ্রীয় বাহিনীর হাতে দেওয়া হল। তবে পুলিশের দায়িত্বে থাকবে রাজভবনের নীচতলা এবং রাজভবন চত্বর।
দুই পুলিশের সন্দেহজনক গতিবিধি নিয়ে কমিশনারের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে। যদিও এ নিয়ে লালবাজারের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। কেন ওই দুই পুলিশ আধিকারিক এমন করলেন তা নিয়ে কমিশনার কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
(পড়তে পারেন। রাজ্যপালের উপর ‘নজরদারি’! তিন পুলিশ কর্মীকে সরানোর সুপারিশ করল রাজভবন)
অন্যদিকে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে জয়ী তৃণমূল কংগ্রেসের তফসিলি বিধায়কের শপথ নিয়ে এখন জটিলতা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের লিখিত চিঠির উত্তর দু’লাইনে দিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। শপথ নিয়ে যখন টানাপোড়েন চলছে, তখন রাজভবনে নজরদারির অভিযোগ উঠল। সূত্রের খবর, রাজভবনের অফিসে ঠিক কী কাজকর্ম হচ্ছে? কারা এখানে আসছেন? এসবের উপর নজরদারি চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয়, ট্যাপ করা হচ্ছে রাজ্যপালের টেলিফোন বলেও অভিযোগ।
রাজভবনের সুপারিশ মেনে শেষ পর্যন্ত পদক্ষেপ করল লালবাজার।