ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে আদালতে রিপোর্ট দিল রাজ্য সরকার। রিপোর্টে রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা যে হয়েছে তা মেনে নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ। মঙ্গলবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৌশিক চন্দের এজলাসে জমা পড়ে এই রিপোর্ট। তাতে রাজ্যে এখনো পর্যন্ত ১৩৮টি ঘটনার তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন - রাত ৩টে ২০-তে শিয়ালদার ১৩ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পৌঁছল ‘অভিশপ্ত’ কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেস
পড়তে থাকুন - 'মানুষকে ট্রেন ছেড়ে সাইকেল নিতে হয়…'কাঞ্চনজঙ্ঘা এক্সপ্রেসে দুর্ঘটনা, তোপ মমতার
মঙ্গলবার রিপোর্ট পেশের আগে বৈঠকে বসেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা। বৈঠকে রাজ্য পুলিশের ডিজি ছাড়াও ছিলেন, ছিলেন মনোজ ভার্মা, আনন্দ কুমার, বিশ্বজিৎ ঘোষ, জাভেদ শামিম, রাজা শেখরণ। আদালতে রিপোর্ট পেশ করে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ১২ জুন পর্যন্ত পুলিশের কাছে ভোট পরবর্তী হিংসার ৫৬০টি অভিযোগ জমা পড়েছে। সব থেকে বেশি অভিযোগ এসেছে ব্যারাকপুর, ক্যানিং ও দেগঙ্গা থেকে।
এর মধ্যে ৯২টি অভিযোগের ক্ষেত্রে কোনও ধর্তব্যযোগ্য অপরাধ পাওয়া যায়নি। ১১৪টি ক্ষেত্রে অনুসন্ধান করে ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়নি। ১৮টি অভিযোগের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ১৩৮টি অভিযোগের তদন্ত করছে পুলিশ। রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তের ওপর নজরদারি করছেন সিআইডির অতিরিক্ত অধিকর্তা বিশাল গর্গ। ৩ দিন পর পর অভিযোগগুলির তদন্ত কতদূর এগোল তা নিয়ে রিপোর্ট দিচ্ছেন তিনি।
আরও পড়ুন - 'মৃত্যুর মুখে! ছিটকে পড়লাম, ট্রেনে চাপতে ভয় লাগছে,' HT Bangla-তে জানালেন কাঞ্চনজঙ্ঘার যাত্রী
গত ৬ জুন ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল বিজেপি। মামলার শুনানিতে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে ই-মেইলের মাধ্যমে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতি কৌশিক চন্দ। জমা পড়া অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার আদালতে রিপোর্ট পেশ করল পুলিশ। এই অভিযোগগুলির তদন্ত কতদূর এগোল তা পরের শুনানিতে আগামী শুনানিতে জানাবে রাজ্য।