নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা এলাকা অত্যন্ত দুর্ঘটনপ্রবণ। এই এলাকায় প্রায়ই পথ দুর্ঘটনা ঘটে থাকে। গত বছরে অনেক বড় বড় পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে চিংড়িহাটায়। এ বছরেও বেশ কয়েকটি ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনা ঘটেছে এই এলাকায়। বৃহস্পতিবার ভয়াবহ পথ দুর্ঘটনায় চিংড়িহাটায় মৃত্যু হয়েছেন দুজনের। এই অবস্থায় চিংড়িহাটায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে তারপর হয়েছে পুলিশ। দুর্ঘটনার পর কলকাতা ও বিধান নগর পুলিশের কর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন। সেখানে গাড়ির গতি কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা খতিয়ে দেখেন আধিকারিকরা।
নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা সোজা এবং লম্বা রাস্তা হওয়ায় অনেকে এখানে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে থাকেন। গাড়ির গতি কমানোর জন্য স্থানীয়বাসিন্দাদের তরফ থেকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে পুলিশকে। এছাড়াও, সেখানে পুলিশি নজরদারি চালানোর আবেদন জানানো হয়েছে। মূলত এই জায়গায় সিগন্যালের দূরত্বও অনেক বেশি। তাই এখানে স্পিড র্যাডার বা আরও সিগন্যাল বসানো যায় কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বিধাননগর পুলিশ। প্রসঙ্গত, নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটা এলাকা অত্যন্ত দুর্ঘটনপ্রবণ। এই এলাকায় দুর্ঘটনা কমাতে বিধাননগর পুলিশ ও কলকাতা পুলিশ যৌথ উদ্যোগে একাধিক পদক্ষেপ করেছে। ফুট ওভারব্রিজও তৈরি করা হয়েছে। তারপরেও দুর্ঘটনা কমছে না।
বৃহস্পতিবার যে দুর্ঘটনা ঘটেছে তাতে গাড়িটি নিকোপার্ক থেকে চিংড়িহাটার দিকে যাচ্ছিল। চালক সিগন্যাল না মেনে সিভিক ভলেন্টিয়ারকে ধাক্কা মেরে এগিয়ে যায়। এরপর একটি টাটা সুমো গাড়িকে ধাক্কা মারে। এরপর এক মহিলা পথচারী এবং এক সাইকেল আরোহীকে ধাক্কা মারে। ঘটনায় মোট ৮ জন আহত হয়। এছাড়া দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক যার মধ্যে রাতে একজনের মৃত্যু হয়। শুক্রবার মৃত্যু হয় আরেকজনের। তারপরেই চিংড়িহাটা এলাকায় পথ দুর্ঘটনা কমাতে তৎপর হয়েছে পুলিশ।