কসবার পিকনিক গার্ডেন এলাকায় সদ্যোজাতর মৃত্যুর ঘটনায় ধোঁয়াশা কিছুতেই কাটছে না। তরুণী নিজেই সন্তানকে শৌচাগারের জানলা থেকে ফেলে দিয়েছিল নাকি তাকে ফেলে দিতে বাধ্য করা হয়েছিল তা নিয়ে ধন্দে রয়েছে পুলিশ। এ বিষয়ে নিশ্চিত হতে তদন্তকারীরা ওই তরুণী এবং তার স্বামীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার কথা ভাবছেন। তাদের মুখোমুখি জিজ্ঞাসাবাদ করলেই সে বিষয়ে আরও স্পষ্ট হয়ে যাবে পুলিশ। যদিও তরুণী এবং তার স্বামীর মানসিক সমস্যা রয়েছে কিনা সে বিষয়টিও জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এর জন্য তাদের চিকিৎসা চলত কিনা তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি দম্পতির পরিবারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
প্রসঙ্গত, সদ্যোজাতকে শৌচাগারের জানলা থেকে নিচে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তরুণী মায়ের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, তিন বছর লিভ ইনে থাকার পর গত বছর নভেম্বরে ওই যুগল বিয়ে করেন। তবে বিয়ের পর থেকেই তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ছিল। সামান্য বিষয়কে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে ঝামেলা হতো। এদিকে, এরইমধ্যে তরুণী অন্তঃস্বত্তা হয়ে পড়েছিলেন। যদিও সেকথা অস্বীকার করেছিলেন ওই তরুণী। গত শনিবার সন্তান প্রসব করার পর শৌচাগারের জানালার কাচ ভেঙে তিনি সদ্যোজাতকে নিচে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এদিকে, উপর থেকে কিছু পড়ার আওয়াজ পেয়ে স্থানীয়রা ছুটে দেখেন নর্দমার কাছে আশঙ্কাজনক অবস্থায় পড়ে রয়েছে ওই শিশু। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। সদ্যোজাতের পাশাপাশি তরুণীকে হাসপাতালে ভর্তি করেন স্থানীয়রা।
এই ঘটনায় তরুণীর স্বামী দাবি করেছিলেন তিনি এ বিষয়ে কিছুই জানেনা। ঘটনার পর তার ভূমিকা নিয়ে সন্দেহ বাড়ছে পুলিশের। তিনি কেন প্রতিবেশীদের কিছু জানাননি সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে পুলিশ। ফলে তরুণী আদৌও নিজের ইচ্ছায় শিশুকে ফেলে দিয়েছিলেন নাকি তাকে ফেলতে বাধ্য করা হয়েছিল তার উত্তর খুঁজে বেড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। আপাতত একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন সদ্যোজাতর মা। তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিচ্ছেন তদন্তকারীরা। কবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হবে সে বিষয়টি নিয়মিত খোঁজ খবর রাখছেন তারা। যদিও দম্পতির পরিবারের সদস্যরা জানাচ্ছেন তাদের সঙ্গে দম্পতির যোগাযোগ ছিল না। পরিবারের সদস্যদের দাবি, তরুণী অন্তঃসত্তা ছিলেন কিনা তা তারা জানতেন না। সে বিষয়টিও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup