রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক বৈঠক হল নবান্নে। রাজ্য পুলিশের ৬ শীর্ষকর্তা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। এডিজি আইবি, এডিজি আইনশৃঙ্খলা, এডিজি সিআইডি, এডিজি ট্র্যাফিক, এডিজি লিগাল এবং নিরাপত্তা অধিকর্তা। এই বৈঠকের পরিচালনা করেন রাজ্যে নিরাপত্তা অধিকর্তা পীযুষ পাণ্ডে। আর উল্টোরথ এবং মহরম নিয়ে একটি বৈঠক হয়। এই দুটি উৎসবকে সামনে রেখে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে শহরে এবং জেলায় তা নিয়ে বৈঠক হয় বলে সূত্রের খবর। রথযাত্রার সময় দুর্ঘটনার খবর বারবার সংবাদে এসেছে। তাই আগাম সতর্কতা নিতে বলা হয়েছে।
এদিকে এডিজি আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের একাধিক জায়গায় গণপিটুনির ঘটনা নিয়ে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘গণপিটুনির অভিযোগ থামাতেই হবে। আর আপনাদের আরও সক্রিয় হতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা ব্যাপী পুলিশের সক্রিয় নজরদারি আরও বাড়াতে হবে। এমনকী অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অ্যাকশন নিন। এখনও কিছু খামতি রয়েছে।’ রথযাত্রার সময় জেলার যেখান দিয়ে রথ যাবে সেখানে যাতে বৈদ্যুতিন তার পড়ে না থাকে সেটা খতিয়ে দেখে নিতে বলা হয়েছে। গাছের ডালপালা ছাঁটতে বলা হয়েছে স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলিকে। কোনও উত্তেজনা দেখা দিলেই তৎক্ষণাৎ অ্যাকশন নিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলরদের গণপদত্যাগ, বাঁশবেড়িয়া পুরসভায় তুলকালাম কাণ্ড
অন্যদিকে কলকাতায় ছোট–বড় সব মিলিয়ে প্রায় ৭৪টি রথ বের হয়। তার মধ্যে সাতটি বড় রথ আছে। এগুলিতে প্রত্যেকবারই রথযাত্রায় ভিড় হয়। আর তা সামলাতে এবার থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার। যে রুট দিয়ে রথ যাবে সেখানে বাড়তি বাহিনী রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, প্রায় দেড় হাজার পুলিশ মোতায়েন রাখা হবে। যে সব রাস্তা দিয়ে রথ টানা হবে সেখানে ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার অফিসাররা উপস্থিত থাকবেন। রথ টানা নিয়ে কোথাও যাতে অশান্তি না হয় সেদিকে নজর রাখতে হবে। রথযাত্রা নিয়েও সব জেলার এসপি, সিপিদের সতর্ক করেন রাজ্য পুলিশের শীর্ষকর্তারা।
এছাড়া সিভিল ড্রেসে পুলিশ রাখার কথাও বৈঠকে বলা হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘রথযাত্রা নিয়ে যা যা গোয়েন্দা ইনপুট আছে সব শেয়ার করুন। কোনওরকম বিশৃঙ্খলা বরদাস্ত করা হবে না। কোনও বিশৃঙ্খলার আগাম খবর থাকলে সিনিয়র অফিসারদের সঙ্গে শেয়ার করুন।’ এই বৈঠকে কিছু এলাকার নাম এডিজি আইবি জাভেদ শামিম উল্লেখ করেন। সেই এলাকাগুলিতে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়। দুই ধর্মের মানুষের মধ্যে কোনও অশান্তির বাতাবরণ যাতে না ছড়ায় তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। আরও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ৭ জুলাই রথ এবং ১৭ জুলাই মহরম।