আরজি কর কাণ্ডের প্রতিবাদী চিকিৎসক আসফাকউল্লাহ নাইয়ার বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে কলকাতা হাইকোর্টে বড় ধাক্কা খেল বিধাননগর পুলিশ। রাজ্য উপযুক্ত নথি দেখাতে না পারায় ওই FIRএর ভিত্তিতে তদন্তে ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দিলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। এই মামলায় গতকালই রাজ্য সরকারকে আসফাকউল্লাহ নাইয়ার প্রেসক্রিপশন প্যাড জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি।
এদিন আদালতে চিকিৎসক নাইয়ার আইনজীবী শামিম আহমেদ বলেন, কোনও কারণ ছাড়াই আমার মক্কেলের বাড়িতে গিয়ে তল্লাশির নামে হেনস্থা করেছে বিধাননগর পুলিশ। তাঁকে তলবও করা হয়েছে। এর পরই রাজ্যের কাছে অভিযোগের সমর্থনে প্রয়োজনীয় নথি দেখতে চান বিচারক। যা আদালতে জমা দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী। এর পর এই FIRএর তদন্তে ৬ সপ্তাহের স্থগিতাদেশ দেন বিচারক। এর ফলে এই সময়ের মধ্যে আসফাকউল্লাহ নাইয়াকে তলব করতে পারবে না পুলিশ। কোনও তল্লাশি বা জেরা করা যাবে না তাঁকে।
চিকিৎসক নাইয়ার বিরুদ্ধে ভুয়ো ডিগ্রি ব্যবহার করে চিকিৎসা করার অভিযোগ জানিয়েছিল তৃণমূল পোষিত জুনিয়র ডাক্তারদের সংগঠন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে FIR দায়ের করে বিধাননগর কমিশনারেট। অভিযোগে বলা হয়েছে, চিকিৎসক নাইয়া MS ENT পাঠরত। কিন্তু তিনি নিজেকে MS ENT দাবি করে চিকিৎসা করছেন। দাবির সমর্থনে একটি লিফলেট পেশ করা হয়। যেখানে আসফাকউল্লাহ নাইয়ার নামের তলায় MS ENT লেখা রয়েছে।
এর পর গত বৃহস্পতিবার আসফাকউল্লাহ নাইয়ার কাকদ্বীপের বাড়িতে তল্লাশি চালায় বিধাননগর পুলিশের ৪০ জনের একটি দল। ফেসবুক লাইভে যার তীব্র প্রতিবাদ করেন তিনি। এর পর পুলিশকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, ক্ষমতা থাকলে আরজি কর মেডিক্যালের হস্টেলে এসে আমাকে জেরা করুন।
মঙ্গলবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, চিকিৎসক নাইয়ার প্রেসক্রিপশন কোথায়? লিফলেটে কে কী লিখল তাতে কিছু আসে যায় না। আর যারা অভিযোগ করেছেন তাদের সঙ্গে চিকিৎসক নাইয়ার সম্পর্ক কী? তাঁরা কি তাঁর রোগী? চিকিৎসক নাইয়ার বিরুদ্ধে কি ভুল চিকিৎসার কোনও অভিযোগ রয়েছে? কোনও প্রশ্নেরই জবাব দিতে পারেননি রাজ্যের আইনজীবী?