আজ, মঙ্গলবার পশ্চিম মেদিনীপুরের কেশপুরে সুকান্ত মজুমদারের সভা আছে। কিন্তু সোমবার কেশপুর থানার পক্ষ থেকে বিজেপিকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে, অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিজেপির রাজ্য সভাপতির সভাস্থল নিয়ে আপত্তি রয়েছে পুলিশের বলেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই খবর জানতে পেরেই এখন ক্ষুব্ধ সুকান্ত–সহ গেরুয়া নেতারা। তাই এখন তাঁরা কলকাতা হাইকোর্টে ছুটেছেন। সেখানের শুনানি শেষ করে সভা করতে যাওয়া কার্যত কঠিন কাজ।
এদিকে সভার প্রাক্কালে এমন ধাক্কা খেয়ে বেশ চাপে পড়ে গিয়েছে বিজেপি। এর আগে যেখানে সভা করেছে বিজেপি সেখানে গণ্ডগোল দেখা দিয়েছে। শিবপুর–রিষড়া তার উজ্জ্ব উদাহরণ। তাছাড়া পশ্চিম মেদিনীপুরে এখন আদিবাসীদের আন্দোলন চলছে। সেখানে বিজেপি গিয়ে উস্কানি দিলে আইনশৃঙ্খলার অবনতি হতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। কিন্তু এমন আপত্তি মোটেই ভালভাবে দেখছে না বিজেপি শিবির। এবার সেই সভা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হল বিজেপি। আজ, মঙ্গলবার দুপুর ১টায় কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
অন্যদিকে সভা হবে ধরে নিয়েই কেশপুরের বিশ্বনাথপুর বাজার এলাকায় আয়োজন করে ফেলেছে বিজেপি শিবির। সেখানে প্রধান বক্তা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাই এখন যেভাবে হোক সভা করার কথা ভাবছেন তাঁরা। কারণ সম্প্রতি রাজ্য সফরে এসে অমিত শাহ সংগঠন মজবুত করার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন। আর সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে নির্দেশ দিয়েছেন। তাই এই সভা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিজেপি নেতারা। এখন থেকে তাঁরা প্রতিটি জেলায় সভা করে জনমত গঠনের চেষ্টা করছেন। আর ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্ত পরিবারের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেওয়ারও কর্মসূচিও আছে সুকান্ত মজুমদারের।
ঠিক কী লেখা আছে চিঠিতে? পুলিশ এই সভাকে ঘিরে একটি চিঠি দিয়েছে বিজেপিকে। সেই চিঠিতে বলা হয়েছে, পুলিশ আবেদন খতিয়ে দেখে যে, দুটি পৃথক আপত্তির কথা জমা পড়েছে। গ্রাম কমিটির থেকেও আপত্তি জানানো হয়েছে পুলিশকে। তাই ওই জায়গায় সভা করার অনুমতি দেয়নি কেশপুর থানার পুলিশ। পুলিশের আপত্তি নিয়ে বিজেপির ঘাটাল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তন্ময় দাস বলেন, ‘বাজার কমিটি ও গ্রাম কমিটির থেকে অনুমতি আগেই নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পুলিশ এটা চাপ দিয়ে সভা বাতিল করছে।’