‘ঘরে এসে টাকা অফার করছে পুলিশ। বডি পড়ে রয়েছে। আর পুলিশ এসে টাকা অফার করছে। এটাই কি পুলিশের মানবিক মুখ?’ বুধবার বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন মৃত চিকিৎসকের কাকিমা। তিনি সমস্ত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে অনুরোধ করেন, পরিবারের তরফ থেকে আপনাদের কাছে অনুরোধ যে আপনাদের কাছে যদি কোনও প্রমাণ থাকে তবে আপনারা সিবিআইয়ের কাছে তুলে দিন।
রাজ্য জুড়ে প্রতিবাদ। দেশ জুড়ে প্রতিবাদ। আরজি করের সেমিনার হলের ভেতর ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছিল এক মহিলা চিকিৎসককে। বুধবার সেই মহিলা চিকিৎসকের পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখেন শ্যামবাজারে। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
ওই তরুণী চিকিৎসকের কাকিমা দাবি করেন, ‘খবর পাওয়ার পরেই আমরা গাড়ি বুক করে আরজি করের দিকে রওনা হয়েছিলাম। এরপর আমরা হাসপাতালে যাই। সেখানে গিয়ে চিকিৎসকের মা বাবাকে বসিয়ে রাখা হয়। বলা হয় প্রিন্সিপাল আপনাদের সঙ্গে দেখা করতে চান। আমরা বলেছিলাম প্রিন্সিপাল এখানে আসুন।
এরপর চিকিৎসকের কাকিমা বলেন, বডি যখন বের করা হয়, আমরা গাড়িতে উঠতে যাচ্ছিলাম। সেই সময় পুলিশ ধাক্কা দেয় আমায়। বলে পুলিশ ছাড়া এখানে কেউ উঠতে পারবে না। এরপর আমরা ম্যাটাডোরে উঠি। সেটা করে কিছুটা যাওয়ার পরে ওর বাবাকে ফোন করি। এরপর ওর বাবা বলে টালা থানায় আছি। এরপর দেড় ঘণ্টা বাড়ির সামনে বডি রাখা হয়েছিল। সেখানে পরিবারের কেউ ছিলেন না। এক কাউন্সিলর ছিলেন। এমনকী আমরা যখন বাড়িতে ঢুকতে যাই তখনও পুলিশ ঢুকতে দিচ্ছিল না। বলছিল পরিবারের কতজন থাকতে পারে। পরে অপর এক পুলিশ আধিকারিক ঢোকার অনুমতি দেন।’
এরপর তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন, ‘ঘরে এসে টাকা অফার করছে পুলিশ। বডি পড়ে রয়েছে। আর পুলিশ এসে টাকা অফার করছে। এটাই কি পুলিশের মানবিক মুখ?’ বিস্ফোরক মৃত চিকিৎসকের কাকিমা।
ওই চিকিৎসকের এক দাদা তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘রাখিটাও বোনের কাছ থেকে পরতে পারলাম না। যারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যুক্ত এই ঘটনার সঙ্গে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক। আপনারা সকলে যেভাবে আমাদের পাশে রয়েছেন তাঁদের ধন্যবাদ। আমরা আপনাদের পাশে সবসময় রয়েছি। ’
এদিন ওই মহিলা চিকিৎসকের বাবাও পুলিশের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তিনিও দাবি করেন, শ্মশানের খরচ ফ্রি করে দিল কে? ডিসি নর্থ আমাদের ঘরের গলিতে গিয়ে টাকা দেওয়া চেষ্টা করেন। তখন যা বলার বলে দিয়েছিলাম।