গত রবিবার থেকে নিখোঁজ ছিলেন এক ব্যক্তি। অবশেষে একটি পুকুর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার হল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনাটি যাদবপুরের। মৃতের নাম কৌশিক দাস (৩৯)। গতকাল সকালে তার মৃতদেহ ভাসতে দেখে স্থানীয়রাই পুলিশের খবর দেন। পরে পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায়। মানসিক অবসাদের জেরে আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, গত রবিবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর আর তিনি ফেরেননি। এরপরে উদ্বিগ্ন পরিবার যাদবপুর থানায় নিখোঁজের ডায়েরি করে। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তাকে শেষবার দেখা গিয়েছিল যাদবপুর লায়লকা মাঠের কাছে। সেখানে তার বাইকও খুঁজে পায় পুলিশ। বাইকে চাবি লাগানো ছিল। তখন মাঠের পাশের একটি পুকুরে সোমবার দিনভর তল্লাশি চালায় পুলিশ। কিন্তু কৌশিককে খুঁজে পাওয়া যায়নি। অবশেষে গতকাল সকালে পুকুরে একটি মৃতদেহ ভেসে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ এসে মৃতদেহ উদ্ধার করে বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে মৃতদেহ শনাক্ত করার পর জানতে পারে মৃতদেহটি হল নিখোঁজ থাকা কৌশিকের। এরপর তার পরিবারের সদস্যদের খবর দেয় পুলিশ।
জানা গিয়েছে, কৌশিক বিজয়গড়ের বাসিন্দা। মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে একটি ঘর ভাড়া করে থাকতেন কৌশিক। তার বাবা সরকারি চাকরি করতেন তবে। তার মৃত্যুর পর পেনশনের টাকাতেই সংসার চলত। এমবিএ পাশ করার পর একটি নামী ম্যানেজমেন্ট সংস্থায় চাকরি করছিলেন কৌশিক। কিন্তু, লকডাউনের সময় চাকরি চলে যায়। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়ায় কৌশিক সম্প্রতি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। তার স্ত্রী মৌমিতা দাস জানান, চাকরি চলে যাওয়ার পরে অবসাদে ছিলেন তার স্বামী। প্রতিদিনই মদ্যপান করতেন। সেই কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন কিনা তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এদিকে ছেলের মৃত্যুর ঘটনায় শোকে মুহ্যমান তার মা তনুশ্রী দাস।