দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসরে ভুগছিলেন, কলকাতায় আত্মঘাতী চিকিৎসক

দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসরের সমস্যায় ভুগছিলেন ওই চিকিৎসক। তিনি একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান ছিলেন। শুক্রবার বাড়িতে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন না। রাত ৯ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে ওই চিকিৎসককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান।

চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। (প্রতীকী ছবি)

ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হল ৬৬ বছর বয়সি এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে যোধপুর পার্ক এলাকার গড়িয়াহাট রোডে (দক্ষিণ)। গতকাল রাতে ওই চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। মৃত চিকিৎসকের নাম অনিল চন্দ্র দাস। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাতে মৃত্যুর কারণ হিসেবে ক্যানসরের কথা উল্লেখ করেছেন ওই চিকিৎসক। তাঁর মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। এদিন মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যানসারের সমস্যায় ভুগছিলেন ওই চিকিৎসক। তিনি একজন জেনারেল ফিজিশিয়ান ছিলেন। শুক্রবার বাড়িতে তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা ছিলেন না। রাত ৯ টার দিকে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরে ওই চিকিৎসককে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানিয়েছেন ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ পূর্ব) শুভঙ্কর ভট্টাচার্য। পুলিশ জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যরা চিকিৎসকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে তাঁকে উদ্ধার করে এসএসকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁকে মৃত প্রশ্ন করেন চিকিৎসকরা। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে তবেই মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

প্রসঙ্গত, এর আগেও শহরের বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। এর আগে সল্টলেকে একটি বন্ধ ঘর থেকে উদ্ধার সরকারি চিকিৎসকের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়েছিল। বিধাননগর থানার পুলিশ ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার করেছিল। মৃত চিকিৎসকের নাম প্রসেনজিৎ মুখোপাধ্যায়। দীর্ঘদিন ধরে ওই বাড়িতে ভাড়া থাকতেন তিনি। ওই বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন। ওই বাড়িটির কেয়ারটেকার জানিয়েছিলেন, মৃত্যুর কয়েকদিন আগে থেকেই ওই চিকিৎসককে বাইরে বেরতে দেখা যায়নি। দু’দিন আগে থেকে পচা গন্ধ পেয়ে বাড়ির মালিককে ফোন করেন কেয়ারটেকার। এরপর বাড়ির মালিক এসে দরজা খুলে মৃতদেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বিধাননগর পুলিশে। পরিবার-পরিজনদের খবর দেওয়া হলে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় তাঁরা।

এছাড়াও, দক্ষিণ কলকাতার ডায়মন্ড সিটি সাউথের আবাসন থেকে একই ভাবে এক চিকিৎসকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল। ওই চিকিৎসকের নাম ছিল দেবিকা চট্টোপাধ্যায়। তিনি কোঠারি হাসপাতালের চিকিৎসক ছিলেন। ঘটনায় তাঁর ঘর থেকে সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়।