রাস্তার ধারে অবস্থিত একটি শৌচাগার পরিষ্কার করতে গিয়ে চক্ষু চড়কগাছ সাফাই কর্মীর। শৌচাগার থেকে উদ্ধার হল একটি মানব ভ্রূণ। ঘটনাটি খাস কলকাতার জোড়াবাগানের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ভ্রূণটি সেখানে কীভাবে এল? কে ফেলে দিয়ে গেল? তা উঠেছে প্রশ্ন। ইতিমধ্যেই এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনাটি সোমবারের। এদিন সকালে প্রতিদিনকার মতোই শৌচাগার পরিষ্কার করতে গিয়েছিলেন পুরসভার সাফাই কর্মী। সেই সময় তিনি দেখতে পান শৌচাগারের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় কুণ্ডলী পাকিয়ে কি যেন একটা পড়ে আছে। ঘটনায় চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করেন ওই সাফাইকর্মী। তখন সেখানে ছুটে আসেন আশেপাশের লোকজন। পরে তাঁরা বুঝতে পারেন আসলে সেটি হল একটি মানব ভ্রূণ। এরপর জোড়াবাগান থানা এলাকার শশী সুর লেনে ভিড় জমে কৌতূহলী মানুষের।
এদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। ভ্রূণটি উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভ্রূণটি পুত্র সন্তানের। ওই ভ্রূণটির বয়েস মাত্র ৩ মাস। প্রসঙ্গত, অতীতে কন্যাসন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করার বহু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। এখন পুত্র সন্তানের ভ্রূণ নষ্ট করা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। আপাতত কীভাবে এই ভ্রূণ এখানে এল তা জানতে আশেপাশের মানুষদের জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও কলকাতায় ভ্রূণ উদ্ধারের ঘটনা নতুন কিছু নয় তবে এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র এলাকাবাসীদের মধ্যে চাঞ্চল্য ছড়ায়।