কলকাতা বিমানবন্দর সংলগ্ন একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল ভিন রাজ্যের এক যুবকের মৃতদেহ। হোটেলের দরজা ভেঙে যুবকের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃত যুবকের নাম আর শ্রীনিবাস রাও। তিনি আন্দামানের বাসিন্দা। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই যুবক। তবে তা নিয়ে এখনও পুরোপুরি নিশ্চিত নয় পুলিশ। কারণ গলায় দড়ি থাকলেও বসে থাকা অবস্থায় তার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পড়াশোনা না করে মোবাইলেই মেতে মেয়ে, মা বকাবকি করতেই চরম পদক্ষেপ কিশোরীর
হোটেল সূত্রে জানা গিয়েছে, আন্দামান নিকোবরের বাসিন্দা শ্রীনিবাস রাও গত ১৩ জুলাই কাজের সূত্রে কলকাতায় এসেছিলেন। পরে সেখান থেকে তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কলকাতায় এসে তিনি কলকাতা বিমানবন্দরের কাছে ওই হোটেলে উঠেছিলেন। হোটেল সূত্রে জানা যাচ্ছে, দুদিনের জন্য তিনি হোটেল ভাড়া করেছিলেন। গত ১৫ তারিখ হোটেল থেকে তাঁর চেক আউট করার কথা ছিল। কিন্তু, চেক আউটের সময় পেরিয়ে গেলেও তিনি হোটেল থেকে বের হননি। এরপরেই হোটেলের কর্মচারীরা দরজায় ধাক্কাধাক্কি।করে ডাকা ডাকি শুরু করেন। কোনও যুবকের কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় সন্দেহ হয় হোটেল ম্যানেজার ও কর্মীদের। পরে হোটেলের ম্যানেজার বিমানবন্দর থানায় ফোন করে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছয় পুলিশ। এরপর পুলিশের উপস্থিতিতে ঘরের দরজা ভাঙেন হোটেলের কর্মীরা। ঘরের ভিতরে ঢুকে তারা যে দৃশ্য দেখতে পান তাতে সকলেই হতবাক হয়ে ওঠেন। দেখা যায়, নাইলনে দড়ি পাখার সঙ্গে গলায় বাঁধা রয়েছে যুবকের। আর খাটের ওপর বসা অবস্থায় রয়েছে যুবকের নিথর দেহ।
পরে পুলিশ যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। গতকাল রাতেই মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বারাসত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট পাওয়ার পরেই বোঝা যাবে মৃত্যুর সঠিক কারণ।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই পরিবারকে পুলিশের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয়েছে। তবে কী কারণে ভিন রাজ্যের বাসিন্দা হোটেলে আত্মহননের পথ বেছে নিলেন? সে বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ। এই ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে ঘটনার তদন্তে নেমে ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। হোটেলের কর্মচারী, ম্যানেজারকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পাশাপাশি যুবকের পরিবারের লোকেদের সঙ্গেও কথা বলবে পুলিশ। মৃত যুবকের মোবাইল ফোনটি বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।