হাওড়াগামী কাটিহার এক্সপ্রেস। তারই কামরা থেকে উদ্ধার করা হয়েছিল এক তবলাবাদকের দেহ। একেবারে বাঙ্কারের উপর রাখা ছিল বিশেষভাবে সক্ষম ওই তবলা বাদকের দেহ। গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বাঁধে। এদিকে ওই তবলাবাদক শিক্ষক সৌমিত্র চট্টোপাধ্য়ায়ের মোবাইলটি খোয়া গিয়েছিল। ১৯ তারিখ সকালে কাটিহার এক্সপ্রেস হাওড়ায় আসার পরে প্রতিবন্ধী কামরা থেকে তাঁর দেহ মেলে। কিন্তু খুন করল কে?
এদিকে গুজরাটে এক সিরিয়াল কিলারকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সৌমিত্রর মোবাইল। ওই ধৃতের নাম রাহুল ওরফে ভোলু। কিন্তু মৃত তবলাবাদকের মোবাইল কীভাবে গেল রাহুলের কাছে? সে কি খুনের ঘটনায় জড়িত? কেন খুন করল সে? কীভাবে ফোনের খোঁজ পেল পুলিশ?
পুলিশ সৌমিত্রর মোবাইল ট্র্য়াক করা শুরু করেছিল। মোবাইলটির অবস্থান দেখা যাচ্ছিল রেলওয়ের ট্র্যাক বরাবর। শেষবার সালেমে ছিল ফোনটি। কিন্তু তারপরে ফোন সুইচড অফ হয়ে যায়। এরপর সেটা কীভাবে গুজরাটে গেল সেটা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
পুলিশ সেটাই মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করছে। হাওড়া জিআরপি, সিআইডি তদন্ত করছিল। মোবাইলের সূত্র ধরেই তদন্ত করছিল পুলিশ। এদিকে সেই মোবাইল ফোন উদ্ধার রাহুলের কাছে। এদিকে পুলিশ জানতে পারে, মোবাইলটির অবস্থান জানা যায় তামিলনাড়ুতে। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রাহুল ট্রেনে ঘুরছিল। এরপর অন্য একটা মামলায় গুজরাট পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
এদিকে রাহুল নিজেরও বাঁ পায়ে কিছুটা সমস্যা রয়েছে। সে বিভিন্ন অপরাধ করেছে। একেবারে সিরিয়াল কিলার। আগেও ছিনতাই, মহিলাদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে রয়েছে। মূলত ট্রেনে ট্রেনে ঘুরে বেড়াত।
পুলিশের টিম ইতিমধ্যেই গিয়েছে গুজরাটে। সেখানে গিয়ে রাহুলকে জেরা করা হতে পারে। মূলত প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে রাহুলের মূল লক্ষ্য ছিল সৌমিত্রর টাকাপয়সা, মোবাইল ফোন। এদিকে রাহুল প্রতিবন্ধী কামরায় ভ্রমণ করত। আর সেই সুযোগেই চলত লুঠপাট।
রাহুল জাট। ভয়াবহ সিরিয়াল কিলার। লুঠপাট, ছিনতাই সবেতেই সিদ্ধহস্ত। তেলেঙ্গানা, কর্নাটকেও তার নামে একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এবার ট্রেনের কামরায় তবে কি একলা তবলাবাদককে টার্গেট করেছিল সে? মূলত ট্রেন, ট্রাক এগুলিকে টার্গেট করত সে। রাজ্য পুলিশ তাকে জেরা করবে। এই খুনের আসল কারণ কী ছিল সেটা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। রাহুলকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হবে বাংলায়।