বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > গঙ্গাসাগরে যাওয়ার আগে ২ পুণ্যার্থীর দেহ উদ্ধার, 'জ্বর ছিল' দাবি অন্যান্যদের

গঙ্গাসাগরে যাওয়ার আগে ২ পুণ্যার্থীর দেহ উদ্ধার, 'জ্বর ছিল' দাবি অন্যান্যদের

মৃত দেহের প্রতীকী ছবি।

পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে,পুণ্যার্থীরা উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা।

অনেক বাধা বিপত্তি গঙ্গাসাগর মেলার অনুমতি দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আর তারই মধ্যে বাবুঘাটে পূর্ণার্থী শিবিরে দুই পুণ্যার্থীর মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। মৃত দুই পুণ্যার্থী হলেন শান্তি দেবী (৫৫) ও নেত্রা পাল (৭২)। কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে সে বিষয়ে সঠিক তথ্য জানা না গেলেও পুণ্যার্থীদের অনেকেই দাবি করেছেন, গত কয়েকদিন ধরেই তারা জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন। তবে সেই দাবি যদি সঠিক হয় তাহলে তাদের সংস্পর্শে আসা পূণ্যার্থীদের মধ্যেও করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা।

বুধবার সকালে ওই দুই পূণ্যার্থীর দেহ বাবুঘাট শিবির থেকে উদ্ধার করে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যায় ময়দান থানার পুলিশ। সেখানে চিকিৎসকরা তাদের মৃত ঘোষণা করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে,পুণ্যার্থীরা উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। গঙ্গাসাগর স্নানের উদ্দেশ্যে তারা উত্তর প্রদেশ থেকে কিছুদিন আগেই কলকাতায় এসেছিলেন। অন্যান্য পুণ্যার্থীদের সঙ্গে আশ্রয় নিয়েছিলেন বাবুঘাটের শিবিরে। আজ বুধবার তাদের গঙ্গাসাগর যাওয়ার কথা ছিল।

তবে কি কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা জানার জন্য তদন্ত করছে পুলিশ। তাদের দেহ ময়নাতদন্ত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, গঙ্গাসাগর মেলায় পুণ্যার্থীদের টিকার দুটি ডোজ এবং ৭২ ঘন্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট বাধ্যতামূলক করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। ফলে ওই দুই পূর্ণার্থী টিকার দুটি ডোজ নিয়েছিলেন কিনা বা ৭২ ঘণ্টা আগে আরটিপিসিআর টেস্ট করিয়েছিলেন কিনা সেই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

প্রসঙ্গত, প্রথম থেকে গঙ্গাসাগর মেলার পক্ষে নন চিকিৎসকদের একাংশ এবং বিরোধীরা। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ প্রথম থেকেই গঙ্গাসাগর মেলার বিরোধিতা করে আসছেন। অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর আশঙ্কা 'গঙ্গাসাগর মেলা যেন করোনা সংক্রমনের মেলা না হয়।' এরই মধ্যে দুই মহিলার মৃত্যুর ফলে গঙ্গাসাগর মেলায় যে করোনা সংক্রমণ বাড়বে তা নিয়ে একপ্রকার নিশ্চিত চিকিৎসকদের একাংশ।

বন্ধ করুন