বেলেঘাটার আবাসনে শিশুকন্যা খুনে মায়ের ভূমিকা নিয়ে তদন্তে নেমে কার্যত দিশেহারা পুলিশ। খুনের কারণ জানতে এখনো সন্তানহন্তা মা সন্ধ্যা মালোকে জেরা করে চলেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। মঙ্গলবার দিনভর জেরায় উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। যা থেকে খুনের কারণ জানার চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন সন্ধ্যা।
বেলেঘাটা থানা সূত্রের খবর, শিশুকন্যা খুনের ঘটনাকে ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসাবে দেখছেন তদন্তকারীরা। তবে সন্ধ্যা মালো কেন ২ মাসের মেয়েকে খুন করলেন তা নিয়ে উঠে এসেছে একাধিক তথ্য। তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ২ বছর আগে গর্ভপাত করিয়েছিলেন সন্ধ্যাদেবী। কেন তিনি গর্ভপাত করালেন তার কারণ খুঁজছেন তদন্তকারীরা। তদন্তে এক মহিলা কন্সটেবলের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
গর্ভপাতের কারণ হিসাবে সন্ধ্যা মালো জানিয়েছেন, আর্থিক অনটনের কারণেই সন্তান চাননি তিনি। তাহলে ফের সন্তানের মা কেন হলেন তিনি? এর প্রশ্নের সদুত্তর এখনো মেলেনি। তাছাড়া কন্যাসন্তান হওয়ায় তার ওপর কোনও মানসিক চাপ ছিল কি না তাও জানার চেষ্টা চলছে।
এছাড়া সন্ধ্যা মালোর সঙ্গে হরিয়ানার এক যুবকের দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। মূলত সোশ্যাল সাইটের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখতেন তাঁরা। এই ঘটনায় সেই যুবকের কোনও ইন্ধন রয়েছে কি না তাও জানতেও জেরা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
গত ২৬ জানুয়ারি বেলেঘাটার মল্লার আবাসন থেকে শিশু চুরির অভিযোগ ওঠে। শিশুটির মা সন্ধ্যা মালো জানান, এক দুষ্কৃতী মেয়েকে ঘর থেকে অপহরণ করে নিয়ে গিয়েছে। কিন্তু তদন্তে উঠে আসে অন্য ঘটনা। জানা যায়, মেয়েকে মুখে সেলোটেপ পেঁচিয়ে খুন করেছেন সন্ধ্যা মালো নিজেই।