যে করে হোক ১৪ দিনের মধ্যে হাওড়াকে করোনার অরেঞ্জ জোনে আনতেই হবে। দরকারে নামাতে হবে সশস্ত্র পুলিশ। শুক্রবার নবান্ন থেকে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দেওয়ার পর কোমর বেঁধে নেমেছে হাওড়ার পুলিশ ও প্রশাসন। লকডাউন ভেঙে অকারণে বাইরে বেরনোয় কম বেশি ১০০ জনকে গ্রেফতার করেছেন পুলিশকর্মীরা। করোনার কামড়ে শনিবার একেবারে অবরুদ্ধে হাওড়া শহর ও শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা।
শুক্রবার থেকেই হাওড়া শহরের রেড জোনগুলিতে নজরদারি বাড়িয়েছে পুলিশ। রাস্তায় রাস্তায় পথচারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন পুলিশকর্মীরা। বাইরে বেরনোর সন্তোষজনক কারণ না বলতে পারলে গ্রেফতার করা হচ্ছে তাকে। এদিন কালীবাবুর বাজার ও কদমতলা বাজার খোলা থাকলেও তাদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করেছে পুলিশ। একসঙ্গে বেশি মানুষ যাতে বাজারে ঢুকে পড়তে না পারে সেদিকে কড়া নজর ছিল পুলিশকর্মীদের।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গে মোট করোনাভাইরাস আক্রান্তের ৯০ শতাংশই হাওড়া ও উত্তর কলকাতার বাসিন্দা। এই দুই এলাকাকে রেড জোন বলে চিহ্নিত করে আগেই সিল করেছে প্রশাসন। তবে তার পরেও বিভিন্ন জায়গায়, বিশেষ করে বাজারে ভিড় রোখা যাচ্চিল না। শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পর কড়া হাতে মাঠে নেমেছে পুলিশ।