অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে তোলাবাজির চেষ্টার ঘটনা। এবার সেই ঘটনায় এমএলএ হস্টেলের ঘর বুক সংক্রান্ত বিষয়ে কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-কে তলব করা হল। তিনদিনের মধ্য়ে সেক্সপিয়র থানায় তাঁকে হাজির হতে বলা হয়েছে।
অভিযোগটা ঠিক কী?
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নাম করে ফোন করে কালনা পুরভার পুরপ্রধানের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ছক কষা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তবে কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের তৎপরতায় শেষ পর্যন্ত ধরা পড়েছে তিনজন। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল নেতা আনন্দ দত্তকে ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়েছিল। এমনকী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে বলেও দাবি করা হয়েছিল। আর সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল টাকা নিয়ে আসতে বলা হয়েছিল এমএলএ হস্টেলে। কিন্তু এমএলএ হস্টেলে সেই দুষ্কৃতীরা থাকার সুযোগ পেল কীভাবে?
এখানেই রয়েছে কাহিনিতে নয়া মোড়। সেখানে আবার দেখা গিয়েছে, এমএলএ হস্টেলের যে ঘরে ওই তিনজনকে পাওয়া গিয়েছে সেই ঘরটি আবার কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দের নামে বুকিং করা। এখানেই প্রশ্ন নিখিলরঞ্জন দের নামে বুক কীভাবে করা হল?
এদিকে গোটা ঘটনায় কার্যত আকাশ থেকে পড়েছেন নিখিলরঞ্জন দে। কারণ তাঁর দাবি যারা এই ঘর বুক করেছে তাদের তো চিনিই না। তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, যাকে আমি চিনি না তাকে ঘর দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমি যদি ঘর দিই তবে তো আমার প্যাডে সুপারিশপত্র লাগবে।তেমন তো কিছু আমি দিইনি। কে কার নামে কোথা থেকে ঘর বুক করবে তার দায় আমি কীভাবে নেব, প্রশ্ন নিখিলরঞ্জনের। এদিকে গোটা ঘটনাকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে।
এসবের মধ্য়েই এবার নিখিলরঞ্জন দেকে সেক্সপিয়র থানায় ডেকে পাঠাল পুলিশ। কেন ঘর বুক করার ক্ষেত্রে নিখিলের নাম ব্যবহার করা হয়েছিল তা নিয়ে বিরাট প্রশ্ন উঠছে। খবর এবিপি আনন্দ সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে।
তবে নিখিলরঞ্জন দে এবিপি আনন্দ সংবাদমাধ্যমে বলেন, এই নামের কাউকে চিনি না। এই নামের কাউকে সুপারিশ করিনি। তৃণমূল অনেক কিছু করতে পারে। তাদের চাপের কাছে নতি স্বীকার আমরা করিনা। পুলিশের নোটিশ এলে তদন্তের স্বার্থে পূর্ণ সহায়তা করব। এভাবে ঘর বুক করা হলে অন্য কিছুও তো হতে পারত। তবে তিনি আগে জানিয়েছিলেন, পুলিশের কাছ থেকে এমন কোনও নোটিশ পাইনি।
এমনকী তিনি এই সংক্রান্ত ব্যাপারে তদন্ত করার জন্য স্পিকার সহ বিভিন্ন মহলে চিঠি দিয়েছেন। তিনি বলেন, এভাবে ঘর বুক করা হলে বিধায়কদের নিরাপত্তা নিয়েও তো প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে গোটা ঘটনাতে স্পিকারও রিপোর্ট চেয়েছেন বলেও খবর।