টক টু মেয়র অনুষ্ঠানে সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন মেয়র। সেই অনুষ্ঠানে ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের এক বাসিন্দা তাঁকে অবৈধ নির্মাণের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করেছিলেন। আর তারপরই মেয়রের বিস্ফোরক দাবি, টাকা খায় পুলিশ আর বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট, আর বদনাম হয় কাউন্সিলরের। এভাবে কার্যত কাউন্সিলরকে ক্লিনচিট দিয়ে পুলিশের ঘাড়ে দোষ চাপালেন মেয়র।
কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম অন্যান্য আধিকারিকদের সামনে বলেন, ‘কনস্ট্রাকশন করার সময় যা ভাঙার ভাঙুন। বোরোকে টাকা দিয়ে দেবে। দিয়ে কাজটা করে নেবে। মেয়র নাচবে, ডিজি নাচবে আর ওদিকে বোরো নিজের কাজ করে যাবে। লোয়ার লেবেলে বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট এখান থেকেই তো পয়সা তুলে নিচ্ছে। কমপ্লেন এসেছে বলে রেট ডবল হয়ে যাবে।’ হেসে ফেলেন ফিরহাদ হাকিম।
তিনি বলেন, ‘পয়সা খায় বিল্ডিং ডিপার্টমেন্ট আর থানা। আর বদনাম হয় কাউন্সিলরের। কোনটা বৈধ আর কোনটা অবৈধ সেটা কাউন্সিলর জানবেন না। তার কাছে তো বিল্ডিং প্ল্য়ান আসবে না।’
এরপর ফোন করেছিলেন যিনি, তাঁকে মেয়র বলেন, ‘ঠিক আছে আমরা দেখছি। আমি অ্যাকশন নিয়ে ফোনে জানিয়ে দেব। কাজ এখন বন্ধ আছে। আপনাকে জানিয়ে দেব।’ তবে বিরোধীদের অভিযোগ কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে অবৈধ বিল্ডিং নির্মাণের অভিযোগ ওঠে। তবে এবার অত্যন্ত সুকৌশলে তিনি কাউন্সিলরকে বাঁচিয়ে পুলিশ ও বিল্ডিং বিভাগের ঘাড়ে সরাসরি টাকা খাওয়ার অভিযোগ তুলে দিলেন। কিন্তু স্থানীয় কাউন্সিলররা সরাসরি এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বলে অভিযোগ।