বুধবার মধ্যরাত থেকে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে লকডাউন। আর এরপরই দেশজুড়ে কোটি কোটি গরিব মানুষ কী করে দু’বেলা দু’মুঠো অন্ন সংস্থান করবেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাদের খাবারের ব্যবস্থা করতে সরকারকে উদ্যোগী হতে সোশ্যাল সাইটে আবেদন জানিয়েছেন অনেকে। সাধারণ মানুষের সেই আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়ে প্রশাসনকে তৎপর করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, কেউ না খেয়ে থাকলে খাবারের ব্যবস্থা করবে প্রশাসন।
বুধবার নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বলেন, ‘যদি দেখেন কেউ খেতে পাচ্ছে না, দয়া করে বিডিওকে বা পুলিশকে খবর দিন। পুলিশ ও বিডিও তাদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেবেন।’
ফুটপাথবাসীদের এদিন নাইট শেল্টারে থাকতে অনুরোধ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘অনেকে ফুটপাথে পড়ে থাকেন। বললেও নাইট শেল্টারে যান না। পুলিশ আপনাদের খাবার পৌঁছে দেবে। মাছ, মাংস, ডিম না-দিতে পারি, খিচুড়ি আর তরকারি তো খাওয়াতে পারি।‘
করোনাভাইরাস সংক্রমণে সোমবার বিকেল থেকে লকডাউন শুরু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের শহরগুলিতে। মঙ্গলবার থেকে সেই লকডাউনের বহর বেড়েছে গোটা রাজ্যে। রাতে ২১ দিন দেশজোড়া লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এই পরিস্থিতিতে সব থেকে বিপাকে পড়েছেন দিন আনা দিন খাওয়া মানুষরা। উপার্জনের উপায় নেই, ঘরে নেই জমানো কড়ি। ওদিকে একাকী বৃদ্ধ – বৃদ্ধাদের অবস্থাও করুণ। বাইরে বেরোতে পারছেন না তাঁরাও। ফলে ঘরে ফুরাচ্ছে রসদ।