শিক্ষকনেতা মইদুল ইসলামকে গ্রেফতার করতে মধ্যরাতে তাঁর শ্বশুরবাড়িতে পৌঁছল বিশাল পুলিশবাহিনী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার রাতে দীর্ঘক্ষণ টানাপোড়েন চলে কলকাতার বেলেঘাটার চাউলপট্টিতে। শেষ পর্যন্ত মইদুলবাবুকে না নিয়েই ফিরতে হয় পুলিশকে। এই ঘটনায় পুলিশের অতিসক্রিয়তার অভিযোগ তুলে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই শিক্ষক।
শুক্রবার রাত ১১টা নাগাদ চাউলপট্টিতে মইদুল ইসলামের শ্বশুরবাড়ি ঘিরে ফেলেন প্রায় ২০০ পুলিশকর্মী। বেলেঘাটা থানা ও নিউ টাউন নর্থ থানার আধিকারিকরা মইদুল ইসলামকে নেমে আসতে বলেন। কিন্তু মইদুলবাবু নামেননি। কী অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে তা জানতে চান। কিন্তু নির্দিষ্ট অভিযোগ জানাননি পুলিশ আধিকারিকরা। এর পর শিক্ষক ঐক্য মুক্ত মঞ্চের সাধারণ সম্পাদক মইদুল ইসলাম জানিয়ে দেন, রাতে থানায় যাবেন না তিনি। সকালে দেখা করবেন। রাত ১টা পর্যন্ত এই টানাপোড়েনের পর ফিরে যান পুলিশকর্মীরা। তবে মইদুলবাবুর শ্বশুরবাড়ির সামনে পাহারা বসানো হয়।
শিক্ষকনেতার অভিযোদ, ‘SSK শিক্ষকদের ন্যায্য পাওনার দাবিতে তাঁকে হয়রান করছে পুলিশ।’ সূত্রের খবর, গত ২৪ অগাস্ট বিকাশ ভবনের সমনে ৫ শিক্ষিকার বিষ খাওয়ার ঘটনায় মইদুলবাবুর বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টার অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
মইদুল সাহেব জানিয়েছেন, পুলিশি অতিসক্রিয়তার অভিযোগ নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তিনি। কী ভাবে মধ্যরাতে একজন শিক্ষককে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।