ট্যাংরায় পুত্রবধূর অপহরণ রুখতে গিয়ে বৃদ্ধের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশের ভূমিকা। লালবাজারের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার রাতে গোবিন্দ খটিক রোডে দুর্ঘটনা ঘটানোর পর ফের মল্লিকবাজার মোড়ে দুর্ঘটনা ঘটায় ঘাতক অ্যাম্বুল্যান্সের চালক আবদুর রহমান। তখন তাঁকে আটকও করে পুলিশ। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাকে ছেড়েও দেওয়া হয়। ঘটনায় প্রশ্নের মুখে কলকাতা পুলিশের সমন্বয়।
অনুজ শর্মা কলকাতার পুলিশ কমিশনার হওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন থানার মধ্যে সমন্বয়ে জোর দিয়েছেন তিনি। গত বছর অভিনেত্রী ঊষসী সেনগুপ্তকে হেনস্থার ঘটনায় অভিযোগ নিতে দেরি হওয়ায় লালবাজারের কোপে পড়েন বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক। রীতিমতো লালবাজারে ডেকে বিভিন্ন থানার আইসিদের ক্লাস নেন পুলিশ কমিশনার। কী ভাবে লালবাজার কন্ট্রোলরুমের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কী করে বিভিন্ন থানার মধ্যে তথ্য আদানপ্রধান করতে হবে তার স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর তৈরি করে দেন তিনি। তার পর বছর ঘুরতে চললেও ট্যাংরার ঘটনা প্রমাণ করল কলকাতা পুলিশ রয়েছে কলকাতা পুলিশেও।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার গভীর রাতে ট্যাংরায় নিরীয় বৃদ্ধকে চাকায় পিষে মারার পর দ্রুতগতিতে এলাকা ছাড়ে অ্যাম্বুল্যান্সটি। এর পর পার্ক সার্কাস হয়ে মল্লিকবাজারে পৌঁছয় সেটি। সেখানে ফের একটি গা়ড়িকে ধাক্কা মারে ওই অ্যাম্বুল্যান্স। ঘটনায় অ্যাম্বুল্যান্সের চালক আবদুর রহমানকে আটক করে পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশ। কিন্তু কিছুক্ষণ পর তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন উঠছে, মাঝরাতে বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় অভিযুক্তকে মুক্তি দেওয়ার এমন কী তাড়া ছিল পার্ক স্ট্রিট থানার পুলিশের? কেন মাত্র কয়েক কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ট্যাংরা থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে উঠতে পারল না তারা?