ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে সেই নবান্ন অভিযানের দিনই ইউজিসি নেট পরীক্ষা। সেক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই যাঁরা পরীক্ষা দেবেন তাঁরা কিছুটা হলেও দুশ্চিন্তার মধ্য়ে পড়ে গিয়েছেন। কারণ পরীক্ষার দিন যদি রাস্তা অবরুদ্ধ হয়ে যায়, অশান্তি হয় তাহলে সমস্যা হতে পারে। তবে এবার তা নিয়ে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। এনিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ।
এদিকে গত ১৮ জুন ইউজিসি নেট পরীক্ষা হয়েছিল। কিন্তু তারপর সেই পরীক্ষা নিয়ে নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠে। এদিকে ২৬ অগস্ট জন্মাষ্টমী। তার পরের দিন ২৭ অগস্ট নেট পরীক্ষা। কিন্তু সেদিনই আবার নবান্ন অভিযান। অরাজনৈতিক ব্যানারে এই নবান্ন অভিযান। মুখ্য়মন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও করা হয়েছে। এদিকে সেই নবান্ন অভিযান উপলক্ষে বিরাট জমায়েত হতে পারে। তাতে আটকে যেতে পারেন পরীক্ষার্থীরা। সেকারণে উদ্বেগ ক্রমশ বাড়ছে।
সোশ্য়াল মিডিয়ায় রাজ্য পুলিশ জানিয়েছে, 'পাশে আছি। আগামী ২৭ অগস্ট ইউজিসি নেট পরীক্ষা রয়েছে, যাতে বহু সংখ্যক ছাত্রছাত্রী অংশ নেবেন। পরীক্ষা চলবে সকাল ৯.৩০ থেকে ১২.৩০ ও বিকেল ৩টে থেকে ৬টা পর্যন্ত। ঘটনাচক্রে পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ নামে একটা গোষ্ঠী এই ২৭ তারিখেই নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছে। আমাদের আশঙ্কা এই কর্মসূচির কারণে অসংখ্যক নেট পরীক্ষার্থী তাঁদের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে অসুবিধায় পড়বেন। পরীক্ষার্থীদের সুবিধার জন্য রাস্তায় পর্যাপ্ত পুলিশ থাকবে। কোনওরকম অসুবিধায় পড়লে পুলিশের সাহায্য নিন। আমরা নিশ্চিত করব যাতে পরীক্ষার্থীরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে নিজের নিজের পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে পারেন। '
রাজ্য পুলিশের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই। অনেকেই লিখেছেন ভালো কাজ করছেন। আবার এক নেট নাগরিক লিখেছেন, সাধুবাদ জানাই। তার সঙ্গে দেখবেন যেন সন্দীপ ঘোষও যাতে সময় মতো সিজিওতে পৌঁছতে পারে। অপর একজন লিখেছেন ছাত্ররাই ইউজিসি নেট পরীক্ষার্থীদের জায়গা করে দেবে। পুলিশের দরকার নেই।
এদিকে নবান্ন অভিযানকে আটকাতে পুলিশ এলাকায় বিরাট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করছে। গোটা এলাকায় নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হচ্ছে। তবে আগামী মঙ্গলবার কলকাতার কলেজ স্ট্রিট ও হাওড়ার সাঁতরাগাছিতে দুপুর ১টায় জমায়েত হবে। সেখান থেকেই শুরু হবে তাদের নবান্ন অভিযান। সূত্রের খবর। উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, তাদের কর্মসূচির সঙ্গে রাজনীতির কোনও ব্যাপার নেই।
তবে তারা যে এবিভিপির কেউ নন সেটাও পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন তারা। সায়ন বলেন, প্রথম দিকে আমাদের এবিভিপি বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু তারাই তো জানিয়ে দিয়েছে এর সঙ্গে তাদের কোনও যোগ নেই।