একে তো প্রচন্ড গরম। তার সঙ্গেই চারদিকে ধোঁয়া, ধুলো। একেবারে দমবন্ধ করা অবস্থা। সেই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে এবার কলকাতায় নয়া উদ্যোগ। রাজ্য় সরকার এবার কলকাতার বায়ুকে পরিশুদ্ধ করতে বাসের মাথায় এয়ার পিউরিফায়ার বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই বায়ু শোধন যন্ত্রই কলকাতার বাতাসকে পরিশুদ্ধ করবে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন অনুসারে পশ্চিমবঙ্গ দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ এই Bus Roof Mounted Air Purification System ( BRMAPS) এর সূচনা করতে চলেছে। এটার নাম দেওয়া হবে শুদ্ধ বায়ু। বিভিন্ন মহল থেকে দাবি করা হচ্ছে দেশের মধ্য়ে একমাত্র কলকাতাতেই প্রথম এই ধরনের যন্ত্র বসানো হচ্ছে বাসের মাথায়।
রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের চেয়ারম্যান কল্যাণ রুদ্র জানিয়েছেন, আমরা এই ধরনের ২০টি বাস নামিয়েছি। আইআইটি দিল্লির সঙ্গে একযোগে এই পাইলট প্রজেক্ট। কলকাতায় ঋতূভিত্তিক দুষণের মাত্রা দেখা হবে। সেই অনুসারেই প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে। দেখা হবে এই ধরনের ডিভাইস কীভাবে কাজ করে।
ঠিক কীভাবে কাজ করবে এই বিশেষ এয়ার পিউরিফায়ার?
কলকাতার বাতাসে দুষণের মাত্রা কতটা সেটাও মেপে দেখবে এই যন্ত্র। বিভিন্ন রাস্তা দিয়ে যাবে বাস। সেখানেই মেপে দেখা হবে দুষণের মাত্রা। ওই যন্ত্রের সঙ্গে এয়ার ফিল্টার বসানো থাকবে। সেটি বাতাসকে শুদ্ধ করবে। দুষিত বাতাসকে টেনে নিয়ে বিশুদ্ধ বাতাস ছাড়বে এই যন্ত্র।পর্ষদ সূত্রে খবর, কার্বন ফিল্টার্সের মাধ্যমে বাতাসে দুষিত গ্যাসের মাত্রা কমিয়ে দেবে এই যন্ত্র। সেই সঙ্গেই দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কন্ট্রোল রুমে রিয়েল টাইম ডেটাও পাঠানো হবে। দিনের মধ্য়ে প্রায় ৮-২০ ঘণ্টা মতো এই যন্ত্র দুষণের মাত্রাকে মেপে দেখবে।
এমনকী যে সমস্ত এসি বাস শহরে চলছে সেখানে বাস ইনসাইড এয়ার পিউরিফিকেশন সিস্টেম থাকবে। সেই যন্ত্র বাসের ভেতরের বাতাসকে পরিশুদ্ধ করবে। যাত্রীরা অন্তত ৫০ শতাংশ শুদ্ধ বাতাসে শ্বাস নিতে পারবেন।
এখানেই শেষ নয়, রাজ্য দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ রাতের আকাশে ড্রোন ছাড়বে। সেই ড্রোনের সঙ্গে সেন্সর লাগানো থাকবে। সেই সেন্সর দুষণের মাত্রা মেপে দেখবে।মূলত দুষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের কাছে একাধিক অভিযোগ আসছে যে শিল্প কারখানা এলাকায় দুষণের মাত্রা হু হু করে বাড়ছে। সেই নিরিখে এবার তা খতিয়ে দেখা হবে।
এক আধিকারিকের মতে, কারখানার ভেতর ঢুকে দুষণের মাত্র মাপা অনেক সময় সম্ভব হয় না। তবে এবার রাতে ড্রোন সেই এলাকায় গিয়ে দুষণের মাত্রা মেপে নিয়ে আসবে। সেই সঙ্গে সালফার ডাই অক্সাইড ও নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড কতটা রয়েছে সেটাও মেপে দেখা হবে।